রমজান উপলক্ষে ন্যায্যমূল্যে দুধ-ডিম-মাংস বিক্রি

পবিত্র রমজান উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জে কৃষক ও খামারিদের সহযোগিতায় মাসব্যাপী ন্যায্যমূল্যে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর। রবিবার সকালে নগরীর চাষাড়ায় জিয়া হলের সামনে ভ্রাম্যমাণ বাজার উদ্বোধন করেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কৃষিবিদ বাসনা আক্তার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের অন্য কর্মকর্তারা।

এই ভ্রাম্যমাণ বাজারে রমজান মাসজুড়ে এসব প্রোটিন (আমিষ) জাতীয় খাবার ন্যায্যমূল্যে বিক্রির কার্যক্রম চলবে। উদ্বোধনের পর থেকে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ তাদের চাহিদা অনুযায়ী কেনাকাটা করতে আসেন।

প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বাসনা আক্তার  জানান, মহামারি করোনার এই দুর্যোগের সময়ে শারীরিক সুস্থতার জন্য প্রতিটি মানুষের প্রোটিন জাতীয় খাবার গ্রহণ করা খুবই জরুরি। এজন্য মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষদের দোরগোড়ায় এই পুষ্টিকর খাবার পৌঁছে দিতে সরকারের নির্দেশে ভ্রাম্যমাণ বাজারের মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে তা বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়েছে। কৃষক ও খামারিদের কাছ থেকে সরাসরি বিশুদ্ধ ও ভালো মানের দুধ, ডিম এবং সব ধরনের মাংস এনে সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বল্পমূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। এর ফলে সাধারণ ভোক্তাদের পাশাপাশি ন্যায্য দাম পাবেন খামারিরা। বাজারের দাম থেকে আরও কম দামে ডিম হালিপ্রতি ২৬ টাকা, দুধ প্রতি লিটার ৭০ টাকা ও বয়লার মুরগি কেজি প্রতি ১৩৫ টাকা মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। আগামী মঙ্গলবার থেকে একইভাবে বাজারের চেয়ে কম দামে গরুর মাংস বিক্রি করা হবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত নগরীর চাষাঢ়ায় জিয়া হলের সামনে-সহ নির্ধারিত ছয়টি স্থানে এই ন্যায্যমূল্যের ভ্রাম্যমাণ বাজার পরিচালনা করবে জেলা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদফতর।

প্রতি বছর রমজান মাসকে সামনে রেখে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা যেভাবে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি করে থাকে, তা রোধ করার লক্ষ্যেই সরকারের এ উদ্যোগ বলে জানান এই কর্মকর্তা।