ভোলায় ডায়রিয়ার প্রকোপ, হাসপাতালে পর্যাপ্ত সেবা পাচ্ছেন না রোগীরা

ভোলা জেলা সদর দৌলতখান, বোরহানউদ্দিন, লালমোহন, চরফ্যাশনসহ পুরো জেলায় ব্যাপক হারে ডায়রিয়া দেখা দিয়েছে। ভোলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হাসপাতালের বেডে জায়গা দিতে পারছে না রোগীদের। অন্যদিকে রোগীর তুলনায় চিকিৎসক কম থাকায় কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না অসহায় রোগীরা। রোগীর স্বজনরা জানান, ঠিকমতো চিকিৎসা সেবা না পেয়ে অনেকেই সেবা না নিয়ে বাড়ি চলে যাচ্ছেন। স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, হঠাৎ ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ায় চিকিৎসাসেবা দিতে একটু হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবে ডায়রিয়ার প্রকোপ কমাতে জেলার বিভিন্ন জায়গায় ৭৪টি মেডিক্যাল টিম কাজ করে যাচ্ছে।

সরেজমিন দেখা যায়, সদর হাসপাতালের বারান্দার দুই পাশে শুয়ে আছেন প্রায় তিন শতাধিক ডায়রিয়া আক্রান্ত নারী-পুরুষ ও শিশু। ডায়রিয়া ওয়ার্ডের সামনে থেকে শুরু করে পুরুষ সার্জারি ওয়ার্ড, পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডের বারান্দার ফ্লোরে তাদের রাখা হয়েছে। রোগীর চাপে হাসপাতালের বারান্দায়ও কোনও জায়গা নেই। বেশির ভাগ রোগীই নারী, শিশু ও বৃদ্ধ। মাত্র দুজন নার্স রোগীদের সেবা দিচ্ছেন। একসঙ্গে এত রোগীর চিকিৎসা দিতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন তারা। প্রচণ্ড গরম ও দুর্গন্ধে রোগীর সঙ্গে আসা স্বজনরাও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।

ভোলার সিভিল সার্জন ডা. সৈয়দ রেজাউল ইসলাম জানান, ডায়রিয়ার প্রকোপ কমাতে জেলার বিভিন্ন জায়গায় ৭৪টি মেডিক্যাল টিম কাজ করে যাচ্ছে। ডায়রিয়া ব্যাপক আকারে ধারণ করছে। সেই তুলনায় ডাক্তার ও নার্স সংকট থাকায় রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।

তিনি আরও জানান, জেলায় গত এক সপ্তাহে এক হাজার ১০০ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। বর্তমানে তিন শতাধিক রোগী জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছে।