ভারত ফেরত যাত্রীদের জন্য যশোর শহরে ১৬ হোটেল রিকুইজিশন

বেনাপোল স্থল বন্দর দিয়ে ভারত ফেরত পাসপোর্টযাত্রীদের কোয়ারেন্টিনে রাখতে যশোর শহরের ১৬টি হোটেল রিকুইজিশন করা হয়েছে। স্থান সংকুলন না হলে পার্শ্ববর্তী চার জেলার হোটেলগুলোও রিকুইজিশন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যশোরের জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে শুক্রবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভায় যশোরের হোটেল মালিক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসক বলেন, ‘ভারত থেকে যে সংখ্যক পাসপোর্ট যাত্রী ফেরত আসার কথা চিন্তা করছিলাম, তার চেয়ে অনেক বেশি লোকজন আসছে। বেনাপোলের হোটেলগুলো পূর্ণ হয়ে গেছে। ঝিকরগাছা উপজেলার গাজীর দরগাহ এতিমখানা ও মাদ্রাসার ভবনও পূর্ণ হয়ে গেছে। সেখানে ২০২ জনকে রাখা হয়েছে। যে কারণে ভারত থেকে ফেরত আসা মানুষের কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে যশোর শহরের হোটেলগুলো রিকুইজিশন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। হোটেলের মালিকরা স্বল্পমূল্যে পাসপোর্ট যাত্রীদের রাখতে সম্মত হয়েছেন। এছাড়া এসব হোটেলে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ফেরত আসার সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে যাচ্ছে। যে কারণে যশোর শহরের হোটেলগুলোর পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী খুলনা, সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহ ও নড়াইল জেলার হোটেলগুলোতেও তাদের রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফেরত আসাদের দেখভালের বিষয়টি দেখছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. রফিকুল হাসান।’

এ বিষয়ে জানতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. রফিকুল হাসানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ব্যস্ত বলে কথা বলতে রাজি হননি।

তবে, এনডিসি কেএম মামুনুর রশিদ বিকালে জানান, এখন পর্যন্ত ১৬টি হোটেল রিকুইজিশন করা হয়েছে। এর মধ্যে যশোর আইসিটি পার্কের থ্রি-স্টার মানের হোটেল, জাবের ইন্টারন্যাশনাল, হোটেল হাসান ইন্টারন্যাশনাল, হোটেল সিটি প্লাজা, হোটেল ম্যাগপাই, হোটেল আর এস, হোটেল মনিহার, হোটেল ম্যাক্স, হোটেল সোনালী, সিটি হোটেল, হোটেল শাহরিয়ার, হোটেল বলাকা, হোটেল নয়ন, হোটেল নিউ ওয়ে, হোটেল প্রিন্স, হোটেল সিটি, যশোর হোটেল রয়েছে।

তিনি জানান, ইতোমধ্যে যশোরের নয়ন হোটেলে ৩৭ জন, হাসান ইন্টারন্যাশনালে ৪৪ জন, হোটেল ম্যাগপাইয়ে ১৭ জন, আরএস হোটেলে সাত জন, হোটেল ম্যাক্সে ১১ জন, শেখ হাসিনা আইটি পার্ক হোটেল ছয় জনকে রাখা হয়েছে।

এদিকে, যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ সালাউদ্দিন শিকদার জানান, যেসব স্থানে ভারত ফেরত যাত্রীদের রাখা হয়েছে সেখানে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ ও আনসার মোতায়েন করা হয়েছে। ১৪ দিন অবস্থানের পর করোনা নেগেটিভ সনদ প্রাপ্তি সাপেক্ষে তাদের নিজ বাড়ি যেতে দেওয়া হবে।