পুলিশকে লাঞ্ছনার দায়ে ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত

শরীয়তপুরে এক পুলিশ কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করার অপরাধে শরীয়তপুর সদর উপজেলার শৌলপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান (ইউপি) ইয়াছিন হাওলাদারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. আবু জাফর রিপন স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। গত ৯ মে উপসচিব স্বাক্ষরিত এই দাফতরিক আদেশটি বুধবার শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের কাছে পৌঁছায়। জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিকন্দী এলাকার আবদুল গনি হাওলাদারের ছেলে আবদুল রাজ্জাক হাওলাদার (২৫) মানসিক ভারসাম্যহীন। তিনি গত ২০২০ সালের ১৭ আগস্ট রাত ১টায় প্রতিবেশী আবদুল কাদের হাওলাদারের বাড়িতে গিয়ে উৎপাত শুরু করেন। এ সময় ওই বাড়ির সোহাগ হাওলাদার, ইতি বেগম, ইমু আকতার ও রহিমা বেগম রাজ্জাককে মারপিট করেন। এ ঘটনায় পরদিন রাজ্জাকের মা করিমন নেছা বাদী হয়ে তাদের আসামি করে সদরের পালং মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তৎকালীন পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম উদ্দিন এ ঘটনার তদন্ত করতে চিকন্দী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পুলিশ পরিদর্শক) ফারুক আহমেদকে নির্দেশ দেন। ফারুক আহমেদ ২৪ আগস্ট বিকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্তের কাজ শুরু করেন। এ সময় শৌলপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের ভাই মোজাম্মেল হাওলাদার এসে পুলিশের উপস্থিতিতে বাদী করিমন নেছাকে মারপিট করেন। এরপর পুলিশ মোজাম্মেল হাওলাদারকে আটক করে।

খবর পেয়ে শৌলপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইয়াসিন হাওলাদার এসে পুলিশ পরিদর্শক ফারুক আহমেদকে চড়থাপ্পড় মেরে লাঞ্ছিত করে মোজাম্মেলকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। পরে ২৫ আগস্ট অভিযোগটি মামলায় রূপান্তরিত হয়। এতে চেয়ারম্যানকেও আসামি করা হয়। পুলিশ আসামিদের গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে।  আদালত থেকে তারা জামিনে মুক্তি পান।

শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান ফোনে বলেন, ‘স্থানীয় সরকার বিভাগের আদেশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শৌলপাড়া ইউপি চেয়ারম্যানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।’