১৪ মাস পর হিলি ইমিগ্রেশন চালু

ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে আনতে ১৪ মাস বন্ধের পর দিনাজপুরের হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট চালু হয়েছে। এখানে ভারত থেকে ফেরা যাত্রীদের জন্য ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। রবিবার (১৬ মে) সকাল ৯টা থেকে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের কার্যক্রম শুরু হয়। এখন পর্যন্ত কোনও যাত্রী দেশে প্রবেশ করেননি। এই পথ দিয়ে বাংলাদেশে আটকে পড়া ভারতীয় যাত্রীরাও নিজ দেশে ফিরতে পারবেন বলে জানিয়েছে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ।

রবিবার থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ১৪ দিনের লকডাউন শুরু হয়েছে বলে ভারতীয় ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে। ভারতে যেসব বাংলাদেশি আটকে রয়েছে তাদের হাইকমিশন থেকে নতুন করে এনওসি নিয়ে আসতে হবে। এর উপর লকডাউনের কারণে কোনও যানবাহন চলাচল না করার কারণে তাদের আসতে দু-একদিন সময় লাগবে। এজন্য আজ বা আগামীকাল কোনও লোক পারাপার হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূর-এ আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘করোনার কারণে গত বছরের মার্চ মাস থেকে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রী পারাপার বন্ধ ছিল। সম্প্রতি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সভার সিন্ধান্ত অনুযায়ী আজ থেকে এর কার্যক্রম চালু হয়েছে। তবে ভারত থেকে দেশে ফেরা প্রত্যেক যাত্রীকেই প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের মেডিক্যাল চেকআপের মাধ্যমে দেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। কেউ গুরুতর অসুস্থ থাকলে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখার জন্য স্থানীয় এমএম আবাসিক ও নুরজাহান লজ নামের দুটি আবাসিক হোটেল নির্ধারণ করা রয়েছে। আশা করছি, ভারত থেকে আসা যাত্রীদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে কোনও সমস্যা হবে না, তারপরেও আমরা নিয়মিত মনিটরিং অব্যাহত রাখবো।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত কোনও সুনির্দিষ্ট তথ্য পাইনি। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠকে যে আলোচনা হয়েছে তাতে করে ভারতে প্রায় এক হাজার বা তার অধিক বাংলাদেশি পাসপোর্ট যাত্রী আটকে আছেন। আজ হিলিসহ দেশের তিনটি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে তাদের দেশে ফেরার কথা রয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা তাদের গ্রহণের ব্যবস্থা নেবো।’

সিভিল সার্জন আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ‘আজ থেকে ভারতে লকডাউন শুরু হলেও আটকে পড়া বাংলাদেশি নাগরিকরা চাইলে এনওসি ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স নিয়ে দেশে ফিরতে পারবেন।’