মোংলায় করোনা পরীক্ষা করাতে এসে দুজনের মৃত্যু, বিধিনিষেধ উপেক্ষিত   

মোংলায় করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। এ অবস্থায় বিধিনিষেধ মানার ক্ষেত্রে স্থানীয়দের অনীহা দেখা গেছে। বৃহস্পতিবার (১০ জুন) সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা পরীক্ষা করাতে এসে তহুরুন্নেছা খুকি (৪২) ও মো. ইব্রাহিম (১৬) নামে দুই জন মারা গেছেন।

এছাড়া বুধবার রাতে করোনা পরীক্ষা করাতে এসে মারা যান আম্বিয়া নামে একজন। এদিন খালেক (৬০) ও আসলাম (৪২) নামে আরও দুজন মারা গেছেন। মারা যাওয়া সবাই করোনা আক্রান্ত ছিলেন বলে নিশ্চিত করেছেন হাসাপাতালের চিকিৎসক দেবপ্রসাদ সাহা।

এদিকে দুই দফায় দেওয়া করোনা বিধিনিষেধে পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। এজন্য বৃহস্পতিবার (১০ জুন) ভোর ৬টা থেকে ১৬ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত চলমান কঠোর বিধিনিষেধকে আরও অধিক কঠোরতর করে বিধিনিষেধ জারি করেছে বাগেরহাট জেলা প্রশাসন। নতুন করে জারি করা এ বিধিনিষেধে নদী পারাপার, যান চলাচল, দোকানপাট, পশুর হাট বন্ধের নির্দেশনা রয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে তা মানতে দেখা যায়নি। নদী পারাপার হতে দেখা গেছে। চলছে যানবাহন, রয়েছে লোকসমাগমও। খোলা রয়েছে দোকানপাট। নিত্যপ্রয়োজনীয় মুদি, কাঁচাবাজার, মাছ ও মাংসের দোকান খোলা স্থানে নেওয়ার নির্দেশনা থাকলেও তা রয়েছে আগের জায়গাতেই। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি, সামাজিক দূরত্ব ও মাস্ক ব্যবহারের বালাই নেই। পৌর শহরের প্রবেশমুখগুলোতে পুলিশ-আনসার থাকলেও সেখান থেকে হরহামেশা বিভিন্ন ইউনিয়নের লোকজন ও যানবাহন চলাচল করছে।

স্থায়ী বন্দর এলাকায়ও বাসসহ বিভিন্ন যান ও লোকসমাগম দেখা গেছে। নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও ভারতগামী নৌযানের স্টাফরা শহরে নেমে ঘোরাফেরা করছেন। গাদাগাদি করে নদী পারাপার ও নৌযানের স্টাফদের অবাধ চলাচলের বিষয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কমলেশ মজুমদার বলেন, ‘বিধিনিষেধে লোকসমাগম ঠেকাতে আমরা সার্বক্ষণিক মাঠে আছি, রফতানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলের (ইপিজেড) শ্রমিকদের নদী পারাপারে জরুরি যান চলাচলের আওতাভুক্ত। তাই স্বল্প পরিসরে নৌ চলাচল খোলা রয়েছে।’

এদিকে এমন পরিস্থিতির মধ্যেও স্বাভাবিক রয়েছে মোংলা বন্দরে পণ্য ওঠানামা ও পরিবহনের কাজ।