বেড়িবাঁধে ভাঙন, আতঙ্কে এলাকাবাসী

উজানের পাহাড়ি ঢলে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার খগাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের দোহলপাড়া গ্রামে তিস্তা নদীর তীরে গ্রামরক্ষা বেড়িবাঁধটি ভাঙনের কবলে পড়ায় গ্রামবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। এতে যেকোনও মুহূর্তে সেখানকার প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবার, হাজার একর আবাদি জমি পানিবন্দি হওয়াসহ বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা। দ্রুত বাঁধটি সংস্কার ও ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

সোমবার (২৮ জুন) সরেজমিন দেখা যায়, বাঁধটির বড় একটি অংশ ভেঙে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সপ্তাহ খানেক আগে উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আকস্মিকভাবে বেড়িবাঁধটিতে ভাঙন শুরু হয়। দু-একদিন পর পানি কিছুটা কমতে থাকায় বাঁধে ভাঙনের তীব্রতা আরও বাড়তে থাকে। প্রতিদিন নতুন করে দেখা দিচ্ছে ভাঙন। দ্রুত বেড়িবাঁধটি পুনর্নির্মাণ করা না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

ওই এলাকার অধিবাসী জামাল উদ্দিন (৭৫) ও আব্দুল্লাহ (৪৫) বলেন, ‘ভাঙনের প্রায় এক সপ্তাহ পার হলেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ তো দূরের কথা, সংশ্লিষ্টরা একনজর বাঁধটি দেখতেও আসেননি। বর্তমানে বাঁধটি বিভিন্ন স্থানে ভাঙার পাশাপাশি একটি স্থানে ১০০ মিটার নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়ায় দিন-রাত আতঙ্কে আছি।’ ওই এলাকার সুফিয়া বেগম (৪০) বলেন, ‘আমরা সরকারের কাছে ত্রাণ চাই না, দ্রুত টেকসই বাঁধ নির্মাণ চাই।’

খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম লিথন বলেন, ‘বাঁধটি কর্তৃপক্ষ মেরামত ও পুনর্নির্মাণের ব্যবস্থা না করলে ক্ষতির পরিমাণ ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। এলাকাবাসী ভাঙনরোধে আপাতত বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা করলেও দ্রুত স্থায়ী সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।’

এ ব্যাপারে ডালিয়া ডিভিশনের (ভারপ্রাপ্ত) নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর গত রবিবার সেখানে আমাদের প্রতিনিধি পাঠানো হয়েছে। পর্যবেক্ষণ রিপোর্ট অনুসারে বাঁধ রক্ষায় প্রয়াজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়শ্রী রানী রায় বলেন, ‘বিষয়টি জেনে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিস্তারিত জানাতে বলেছি। দ্রুত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’