নীলফামারীতে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধের সংকট

নীলফামারীতে স্থানীয় ফার্মেসিতে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে। করোনাকালীন সময়ে জ্বর-সর্দি-মাথাব্যথা ও কাশির জন্য এসব ওষুধ না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়ছে সাধারণ মানুষ। বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ না থাকায় এ সংকট দেখা দিয়েছে। 

সোমবার (২৬ জুলাই) সকালে জেলা শহরের বিভিন্ন ওষুধের দোকান ঘুরে এ চিত্র চোখে পড়ে। লকডাউনের মধ্যে ওষুধ কিনতে আসা বড় বাজারের মাছ ব্যবসায়ী সত্যেন বাবু বলেন, ‘চার দিন আগে থেকে প্যারাসিটামল পাওয়া যাচ্ছিল না। বিভিন্ন দোকান ঘুরে একপাতা নাপা কিনেছিলাম। আজ দোকানদাররা জানিয়েছেন প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ নেই। বিষয়গুলো দেখার মতো কেউ নেই?’

সদরের রামনগর ইউনিয়নের বাহালীপাড়া গ্রামের আমিনুর রহমান বলেন, ‘আমার স্ত্রীর কয়েক দিন ধরে জ্বর ও শরীর ব্যথা। গ্রামে প্যারাসিটামল না পেয়ে শহরে এসেছি। কিন্তু এখানেও পেলাম না। এই পরিস্থিতিতে ওষুধের সংকট হলে বাঁচার উপায় নেই।’

জেলা শহরের বড় বাজার ট্রাফিক মোড়ের মেসার্স করিম ফার্মেসির স্বত্বাধিকারী লতিফুল করিম বলেন, ‘জ্বর সর্দি ও কাশি ছাড়াও করোনা প্রতিরোধে এসব ওষুধ রোগীর লোকজন প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে দু-তিন পাতা করে নিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে।’ একই মোড়ের জান্নাত ফার্মেসির স্বত্বাধিকারী রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘প্রায় এক মাস ধরে এই জাতীয় ওষুধগুলোর সরবরাহ নেই।’

এ বিষয়ে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা জানান, ঘরে ঘরে জ্বর, সর্দি-কাশি ও মাথাব্যথা বেশি হওয়ায় এসব ট্যাবলেটের বাজারে প্রচুর চাহিদা দেখা দিয়েছে। গত বছর থেকে করোনার কারণে চাহিদা আরও বেড়েছে। বাজারে বিপুল পরিমাণ এসব ট্যাবলেট ও সিরাপ সরবরাহ রয়েছে। এ নিয়ে সমস্যা হবে না।

নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. অমল রায় বলেন, ‘এই জাতীয় ওষুধ হাসপাতালে যথেষ্ট পরিমাণ আছে, কোনও সংকট নেই। স্থানীয় কোনও ফার্মেসিতে নাপার কোনও ওষুধ নেই। কিন্তু হঠাৎ কেন এই সংকট দেখা দিলো তা আমার জানা নেই। তবে অন্য কোম্পানির প্যারাসিটামল হলেও জ্বর, সর্দি, মাথাব্যথার একই কাজ করবে।’

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেসমিন নাহার বলেন, ‘প্যারাসিটাল জাতীয় ওষুধের কোনও ঘাটতি নেই। তবে নাপা, নাপা এক্সট্রা ও নাপা সিরাপের সংকট আছে কিনা আমার জানা নেই। বিষয়টি জেনে সমাধান করা হবে।’