সম্পত্তি নিয়ে বিরোধে ৮ জনকে কুপিয়ে জখম

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে একই পরিবারের আট জনকে কুপিয়ে মারাত্মক জখমের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (২৬ জুলাই) দাউদকান্দি উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের বালিয়ারদ্রোন গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে চার জনকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। বাকি চার জনকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও দাউদকান্দির গৌরিপুরের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত করিম মেম্বর নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।

আহতদের স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের বালিয়ারদ্রোন গ্রামের শামসুল হক, তার ভাই মৃত চান মিয়ার পরিবার ও আরেক ভাই রশিদের সঙ্গে একই বাড়ির কবির মেম্বর ও তার ভাই মুস্তাকের সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। সোমবার ভোরে এই বিরোধকে ঘিরে হঠাৎ করে কবির মেম্বর, মুস্তাক এবং কবির মেম্বারের ছেলে সাইফুল, রাইফুলসহ তাদের পরিবারের লোকজন শামসুল হক ও চাঁন মিয়ার পরিবারের ওপর হামলা চালায়। হামলায় শামসুল হক (৫৫), তার স্ত্রী তাজমহল বেগম (৫০), ছেলে রোবেল (২৫), মেয়ে রুনা (১৫) এবং রোবেলের চাচি মৃত চান মিয়ার স্ত্রী কাজল বেগমসহ দুই পরিবারের আট জনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।

আহতদের আত্মীয় আরিফুল ইসলাম জানান, শামসুল হক, রোবেল, তাজমহল ও কাজল বেগমকে গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। আর রুনাসহ বাকি আহতদের কুমিল্লায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে দাউদকান্দি দৌলতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈন চৌধুরী বলেন, ‘কবির মেম্বর সম্পত্তির বিরোধ নিয়ে শামসুল হক ও মৃত চান মিয়ার পরিবারের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় কবিরের তিন ছেলেসহ পরিবারের লোকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে আট জনকে কুপিয়ে আহত করেছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে আহতরা এখন মৃত্যুশয্যায়। আমরা এই বিরোধ সমাধানের অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি।’

দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘হামলার ঘটনায় কবির মেম্বরকে আটক করা হয়েছে। কুপিয়ে আহতের ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। মামলা হলে দোষীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।’