টেকনাফে ৭ হাজার মানুষ পানিবন্দি

কক্সবাজারে টেকনাফে ভারী বৃষ্টিপাতে সাত হাজারের বেশি মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। এছাড়া মঙ্গলবার সকালে হোয়াইক্যংয়ের মনিরঘোনায় পাহাড় ধসে রকিম আলী (৫৫) নামে এক বৃদ্ধ নিহত এবং পৌরসভার পুরাতন পল্লান পাড়ায় আহত হয়েছে পাঁচ শিশু।

আহতদের মধ্যে রয়েছে– টেকনাফের পল্লান পাড়ার রিফা আক্তার (৬), একই এলাকার মো. রাফসান (৭), মনিয়ারা (৬)। বাকিদের নাম পাওয়া যায়নি। 

এ তথ্য নিশ্চিত করে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ পারভেজ চৌধুরী বলেন, ‘ভারি বর্ষণে পাহাড় ধসে আহত পাঁচ শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থল পরির্দশন করে পাহাড়ি ঝুঁকিপূর্ণ সাড়ে তিনশ’ মানুষকে সরিয়ে এজাহার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। তাদের মানবিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।’ 

তিনি বলেন, ‘উপজেলায় নিম্নাঞ্চলের প্রায় দেড় হাজারের বেশি পরিবার পানিবন্দি হওয়ার খবর প্রাথমিকভাবে পেয়েছি। তাদের খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। এখনও ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।’

উপজেলা প্রশাসন কার্যালয় জানায়, টেকনাফ পৌরসভা, সদর, হ্নীলা, হোয়াইক্যং, বাহারছড়া ইউনিয়নের বেশি মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাতে কারণে এসব এলাকায় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের সরে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে সাহায্য দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলার সিপিপির ইনচার্জ আব্দুল মতিন বলেন, ‘টানা বর্ষণে পাহাড়ের মাটি নরম হয়ে পৌরসভার পুরাতন পল্লান পাড়া এলাকায় পাহাড় ধসের ঘটনার খবরে সিপিপি ভলান্টিয়াররা ছুটে গিয়ে আহত পাঁচ শিশুকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় সাড়ে ৩শ’ পাহাড়ি ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। পাশাপাশি হ্নীলা, উলুচামারি ও পৌরসভার এক হাজার পরিবার পানিবন্দি রয়েছে।’

হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী জানান, ভারী বর্ষণে তার এলাকায় হাজারো পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। সেখানে মানুষের অবস্থা খুবই খারাপ। কিছু মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে টেকনাফ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আলম বলেন, ‘ভারী বৃষ্টিপাতে মাটি চাপায় একজন মারা গেছেন এবং বৃষ্টির পানিতে মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছেন। তাদের খোজঁ খবর নেওয়া হচ্ছে।’

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুর রহমান বলেন, ‘লঘুচাপের কারণে সাগরে জোয়ারের পানি ৩-৪ সেন্টিমিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১১৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।’