‘জিয়া-এরশাদ-খালেদা কেউই নদীর নাব্যরক্ষায় প্রকল্প নেননি’

নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধুর সরকার নদীর নাব্য রক্ষায় নদীশাসনের জন্য সাতটি ড্রেজার এনেছিলেন। এরপর ২০০৮ সাল পর্যন্ত জিয়া, এরশাদ, খালেদা কেউই নদীর নাব্য রক্ষায় কোনও প্রকল্প নেননি।’

বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) দুপুরে জামালপুরের মাদারগঞ্জে জামথল লঞ্চঘাটে মাদারগঞ্জ-সারিয়াকান্দি ফেরি সার্ভিসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেই ঘাতকরা ক্ষান্ত হয়নি, রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছিল তারা। আজ পর্যন্ত তারা তা প্রমাণ করতে পারেনি। তারা বলেছিল ব্যাংক ডাকাতির কথা, কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার পর তাদের কাছ থেকে দশটি টাকাও উদ্ধার করতে পারেননি জিয়াউর রহমান।’

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘জিয়াউর রহমান ৭৫-এর খুনিদের সরকারি চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছিলেন। কুখ্যাত শাহ আজিজুর রহমানকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে অপমান করেছিলেন ৩০ লাখ শহীদকে। শুধু তাই নয়, জিয়ার হাত ধরে ৭১-এর ঘাতকরা এদেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছিল।’

বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন– আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক মির্জা আজম, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান অতিরিক্ত সচিব মো. তাজুল ইসলাম, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক, জামালপুর জেলা আওয়ামী সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ।

উল্লেখ্য, মাদারগঞ্জ-সারিয়াকান্দি ফেরি সার্ভিস চালু হওয়ায় নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে যমুনা নদী পারাপার হতে হবে না। সাশ্রয়ী খরচে খুব দ্রুত পারাপারের পাশাপাশি ৮০ কিলোমিটার সড়কপথের দূরত্ব কমে আসবে।