মিতু হত্যা মামলা: যাবতীয় আলামত জুডিশিয়াল হেফাজতে রাখার আদেশ

আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার যাবতীয় আলামত জুডিশিয়াল হেফাজতে রাখার আদেশ দিয়েছেন আদালত। বাবুল আক্তারের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (২৩ আগস্ট) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহনাজ রহমান এ আদেশ দেন।

বাবুলের আইনজীবী শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন। একই আদালতে মামলার বিভিন্ন কাগজপত্রের অনুলিপি বাবুলের আইনজীবীকে দেওয়ার নির্দেশ দেন বলে তিনি জানান।

ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘স্ত্রী খুনের ঘটনায় বাবুলের করা হত্যা মামলায় পিবিআই চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। ওই মামলায় গ্রেফতার আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ও বিভিন্ন আলামত রয়েছে, যা গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো বেহাত হতে পারে এই আশঙ্কায় পুলিশি হেফাজতে না রেখে জুডিশিয়াল হেফাজতে রাখার জন্য আমরা আবেদন করেছিলাম। আদালত তা মঞ্জুর করেছেন।’

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় সড়কে খুন হন পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু। খুনিরা গুলি করার পাশাপাশি ছুরিকাঘাত করে তাকে হত্যা করে। ঘটনার সময় বাবুল আক্তার ঢাকায় ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের পর বাবুল নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলা তদন্ত করতে গিয়ে তার সম্পৃক্তা পায় পুলিশ। এ ঘটনায় গত ১২ মে ৫৭৫ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয় পিবিআই। প্রতিবেদনে পিবিআই জানায়, মিতু হত্যা ছিল কন্ট্র্যাক্ট কিলিং। বাবুল আক্তারের পরিকল্পনায় এটি সংঘটিত হয়। মিতুকে হত্যার জন্য তিন লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে বলে পিবিআই জানায়। এরপর একই দিন নগরীর পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন মিতুর বাবা মোশারফ হোসেন।

এর আগে গত ১০ মে মামলার বাদী হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো কার্যালয়ে ডেকে আনা হয় বাবুল আক্তারকে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ১২ মে তাকে মিতুর বাবা মোশারফ হোসেনের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে পিবিআই। শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রট সরোয়ার জাহানের আদালত বাবুলকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেন। রিমান্ড শেষে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।