বেশ কিছুদিন বন্ধের পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। তবে কাস্টমসের সার্ভার সমস্যা ও শুল্কায়ন জটিলতার কারণে আমদানি করা চাল বন্দর থেকে খালাস নিতে পারছেন না আমদানিকারকরা। তিন মাস ২৩ দিন বন্ধের পর গত ২৪ আগস্ট মঙ্গলবার এই বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হয়। ২৫ আগস্ট ও ২৬ আগস্ট তিন দিনে আটটি ট্রাকে ২৬৩ টন চাল আমদানি করা হয়। শনিবার দুপুর পর্যন্ত বন্দর থেকে চালগুলো খালাস নিতে পারেননি আমদানিকারকরা।
এদিকে বাড়তি সময় লাগায় বিপাকে পড়েছেন পণ্য নিয়ে আসা ভারতীয় ট্রাক চালকরা। এ জন্য অতিরিক্ত অর্থ গুনতে হচ্ছে আমদানিকারকদের।
বন্দর থেকে চাল খালাসের জন্য আমদানিকারক মনোনীত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘চালের আমদানি শুল্ক কমানো হয়েছে। কিন্তু কাস্টমসের সার্ভারে শুল্ক যতটুকু কম হওয়ার কথা তার চেয়ে বেশি দেখাচ্ছে। এ কারণে মঙ্গলবার বন্দর দিয়ে চাল আমদানি হলেও পণ্যের বিল অব এন্ট্রি সাবমিট করা সম্ভব হয়নি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কাস্টমসের সার্ভার ঠিক হয়েছে কিন্তু রাত হয়ে যাওয়ায় সেদিন বিল অব এন্ট্রি সাবমিট করা সম্ভব হয়নি। এ কারণে চাল খালাস নেওয়া সম্ভব হয়নি। শুক্রবার তো বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ ছিল। আজ (শনিবার) দুপুরে বিল অব এন্ট্রি সাবমিট করলাম দেখি কী হয়। তবে এখনও কী মূল্যে তারা চাল শুল্কায়ন করবে সেটি ঠিক হয়নি।’
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, ‘গত ২৪ আগস্ট বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। এর পরে আরও দু দিন বন্দর দিয়ে চাল আমদানি হয়েছে, কিন্তু এসব চাল এখনও বন্দরে হল্টেজ অবস্থায় রয়েছে। বন্দরে আটটি ট্রাকে ৩৬৩ টন চাল আটকে রয়েছে, এখনও খালাস নেননি আমদানিকারকরা।’