দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মাঝে পণ্য আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের সময় বাড়াতে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের কাছে আবেদন করা হয়েছে। এই বন্দর দিয়ে আগের মতো সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আমদানি-রফতানি চালুর দাবি করেন তারা।
শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় হিলি সীমান্তের চেকপোস্ট গেটের শূন্যরেখায় ভারতের হিলি এক্সপোটার্স অ্যান্ড কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ধীরাজ অধিকারী এ বিষয়ে চিঠি দেন। বাংলাদেশের হিলি কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল আজিজের কাছে এই চিঠি দেওয়া হয়। এ সময় সেখানে ভারতীয় ব্যবসায়ী গণেশ সাহা, হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর রেজাসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘ভারত থেকে প্রায় এক হাজার ২শ’ পণ্যবোঝাই ট্রাক রফতানি পণ্য নিয়ে আমাদের ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়কে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে। এর ফলে জাতীয় সড়কে অন্যান্য যানবাহন চলাচলে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এর উপর এতদিন চাল রফতানি বন্ধ ছিল, বর্তমানে আবারও বন্দর দিয়ে চাল রফতানি শুরু হয়ে গেছে। এতে আমরা সময়ের অভাব অনুভব করছি। তাই আগের মতো ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আমদানি-রফতানি কার্যক্রম চালু রাখার আবেদন জানাচ্ছি। বর্তমান পরিস্থিত বিবেচনা করে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দু দেশের মাঝে যাতে বাণিজ্য সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।’
হিলি কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল আজিজ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘বিভিন্ন সময়ে লকডাউন চলার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি চালু রাখা হয়েছিল। সে সময়ে বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে কমিয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত করা হয়েছিল এবং এর পর থেকে খালি ট্রাক যাওয়ার সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল। বর্তমানে লকডাউন না থাকায় দেশের অন্যান্য বন্দরের মতো হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আগের মতো বাণিজ্য চালু রাখার বিষয়ে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে আমাদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমাদের অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য, বন্দর কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে সিন্ধান্ত নেওয়া হবে।’