সেই বিতর্কিত সমাজসেবা কর্মকর্তাকে বদলি

সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা ভাতার কার্ড বিতরণে দুর্নীতে অভিযুক্ত পাবনার বেড়া উপজেলার বিতর্কিত সমাজসেবা কর্মকর্তা মোতালেব সরকারকে বদলি করা হয়েছে। রবিবার সমাজসেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক শেখ রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনের আদেশ অনুযায়ী, মোতালেব সরকারকে নাটোর জেলার লালপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা হিসেবে বদলি করা হয়েছে। একই সঙ্গে লালপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলামকে বেড়া উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মোতালেব সরকারকে রফিকুল ইসলামের কাছে দায়িত্বভার বুঝিয়ে দিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় ২৯ সেপ্টেম্বর তিনি সরাসরি অব্যাহতিপ্রাপ্ত হবেন।

এর আগে, বেড়া উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সরকারি সামাজিক নিরাপত্তা (বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী, স্বামী পরিত্যক্তাদের) ভাতার কার্ড বিক্রিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ অভিযোগ ওঠে। এ অভিযোগে তার বদলি চেয়ে সমাজসেবা অধিদফতরে লিখিত আবেদন করেন উপজেলার কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যান।

লিখিত অভিযোগে তারা বলেন, সরকারের দেওয়া বিভিন্ন ভাতার জন্য উপজেলা সমাজসেবা অফিসে মোবাইল ফোন নম্বর, ছবিসহ ভোটার আইডি কার্ড জমা দেওয়া হতো ইউনিয়ন পরিষদ থেকে। কিন্তু সমাজসেবা কর্মকর্তা মোতালেব সরকার ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের অবগত না করে টাকার বিনিময়ে নিজের ইচ্ছেমতো তালিকা তৈরি করে ভাতার বই বিতরণ করতেন। পুরনো ভাতাভোগীদের বই ওয়েব সাইটে তালিকাভুক্তির সময় মাঠকর্মীরা তাতে গোপনে নিজেদের আত্মীয়-স্বজনের ফোন নম্বর বসিয়ে টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলেও প্রমাণ মিলেছে। এমনকি ক্ষমতার অপব্যবহার করে ওয়েবসাইটে তালিকাভুক্ত পুরনো ভাতার বই অনলাইন তালিকা থেকে বাতিল করে দিতেন তিনি।

অভিযোগকারী রূপপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাশেম উজ্জ্বল, চাকলা ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন বলেন, ‘মোতালেব সরকার বেড়া উপজেলা সমাজসেবা অফিসে প্রায় নয় বছর ধরে কর্মরত। তার নিজ উপজেলায় দীর্ঘদিন চাকরির সুবাদে প্রভাব খাটিয়ে নানা অনিয়ম দুর্নীতি করতেন। সবার সঙ্গে অশোভন আচরণও করতেন। তাই আমরা তার বদলি চেয়ে আবেদন করেছিলাম। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তাকে বদলি করায় আমরা খুশি। আশা করছি আগামীতে বেড়া উপজেলায় জনসাধারণ সামাজিক নিরাপত্তা ভাতা সঠিকভাবে পাবেন।’