নাসির-অমির বিরুদ্ধে পরীমণির মামলা: যা আছে চার্জশিটে

সাভার মডেল থানায় পরিমণির দায়ের করা মামলার তদন্তে অপরাধের প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। ওই মামলার চার্জশিটে মারধর, বিভিন্ন ধরনের হুমকি ও যৌন হয়রানির অভিযোগ করা হয়। চার্জশিটে নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ শহিদুল আলম নামে পলাতক অপর এক আসামির নাম উল্লেখ করা হয়।

সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (পরিদর্শক, তদন্ত) কামাল হোসেন এই চার্জশিট দাখিল করেন।

এর আগে গত ১৪ জুন পরিমণি বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। দুই মাস ২৩ দিনের মাথায় চার্জশিট জমা দেওয়া হলো।

থানা পুলিশ ও চার্জশিট সূত্র জানায়, ৮ জুন রাতে বিরুলিয়ার বোটক্লাবে এজাহারের প্রধান আসামি নাসির উদ্দিন মাহমুদ এবং ৩ নম্বর আসামি শহিদুল আলম (৫০) বাদী পরিমণিকে গালিগালাজ করে অশালীন আচরণ করেন। এরপর তাকে মারপিট করা হয়। মামলার তিন নম্বর আসামি অমি কৌশলে পরিমণিকে বোট ক্লাবে নিয়ে আসেন। আসামিরা যৌন হয়রানি করলে বাদী ক্ষিপ্ত হলে তাকে মারধর করে বিভিন্ন হুমকি দেওয়া হয়। এতে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে অপরাধ প্রতীয়মান হয় বলে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়।

সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) কাজী মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘পরিমণির মামলার দুই আসামি জামিনে রয়েছেন। অপর আসামি শহিদুল পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট চাওয়া হয়েছে।’