ঋণগ্রহীতার কান কেটে দেওয়া সেই দাদন ব্যবসায়ী গ্রেফতার

বগুড়ার শাজাহানপুরে সুদের কিস্তি দিতে ব্যর্থ হওয়ায় অটোরিকশা চালক এনামুল হককে (৪৬) মারপিট এবং ইটের আঘাতে কান কেটে দেওয়ার ঘটনায় দাদন ব্যবসায়ী মজনু মিয়াকে (৪৫) গ্রেফতার করা হয়েছে। র‌্যাব-১২ স্পেশাল কোম্পানির সদস্যরা বুধবার রাতে তাকে গ্রেফতার করে শাজাহানপুর থানায় সোপর্দ করেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে র‌্যাবের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে।

গ্রেফতার মজনু মিয়া শাজাহানপুর উপজেলার মাদলা ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর তালতা গ্রামের মৃত কোরবান আলীর ছেলে।

র‌্যাব-১২ বগুড়া স্পেশাল কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার সোহরাব হোসেন জানান, রামকৃষ্ণপুর উত্তরপাড়ার সিএনজি অটোরিকশা চালক এনামুল হকের স্ত্রী নাজমা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। দরিদ্র স্বামী চিকিৎসার খরচ মেটাতে না পেরে নাজমা তিন মাস আগে দাদন ব্যবসায়ী মজনু মিয়ার কাছে কানের দুল বন্ধক রাখেন। সপ্তাহে দুই হাজার টাকা সুদ দেওয়ার শর্তে তার কাছে ২০ হাজার টাকা ঋণ নেন। অভাবের কারণে তিন সপ্তাহের সুদ দিতে ব্যর্থ হন নাজমা। এতে মজনু ক্ষুব্ধ হন। গত ৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে মজনু ও তার চার-পাঁচ সহযোগী এনামুলের বাড়িতে আসেন। তারা সুদের জন্য এনামুলকে মারপিট করেন। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তার স্ত্রী নাজমা বেগমকেও মারপিট করা হয়। একপর্যায়ে তারা ধাক্কা দিয়ে এনামুলকে মাটিতে ফেলে দেয়। এরপর ইট দিয়ে বাঁ কানে আঘাত করলে একাংশ ছিঁড়ে যায়। তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে নাজমা বেগম শাজাহানপুর থানায় মজনু মিয়াসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

শাজাহানপুর থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, হস্তান্তর করা আসামি মজনু মিয়াকে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।