দিন-রাত কাজ করছেন প্রতিমা শিল্পীরা

কয়েক সপ্তাহ পরই শুরু হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শ্রী শ্রী দুর্গাপূজা। এ উপলক্ষে মণ্ডপে মণ্ডপে এখন চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। তবে মহামারি করোনার কারণে গত বছরের মতো এবারও আনন্দ উৎযাপনে কিছুটা ভাটা পড়তে পারে বলে ধারণা করছেন পূজা উদযাপন কমিটির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। জেলায় এ বছর মোট ১৬৯টি মণ্ডপে পূজা উদযাপন করা হবে।

সরেজমিনে জেলার কয়েকটি মণ্ডপ ঘুরে ও অন্যান্য উপজেলায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পূজা উপলক্ষে তৈরি করা প্রতিমাগুলোর কাজ ইতোমধ্যেই প্রায় ৭০ ভাগ শেষ হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই বাকি কাজ শেষে রঙ-তুলির আঁচড়ে প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে দুর্গা প্রতিমাগুলো।

ঝালকাঠি মদনমোহন আখড়াবাড়ি মণ্ডপে প্রতিমা তৈরি করতে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া থেকে আসা ভাস্কর শ্রীবাস গাইন বলেন, ‘হাতে সময় আছে বিশ দিন। এর মধ্যে মাটির কাজ, রঙ, পোশাক এবং অলংকার পরানোর কাজ শেষ করে মন্দির কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিমা বুঝিয়ে দিতে হবে। তাই পাঁচ জন মিলে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছি।’

Templateসদর উপজেলার হরিসভা রাধাগোবিন্দ মন্দিরের দুর্গা মন্ডপের প্রতিমা কারিগর উত্তম পাল বলেন, ‘ঐতিহ্যকে ধরে রাখার জন্য এই  পেশার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে আমার পরিবার। এবার এটিসহ চৌদ্দটি মণ্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ পেয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘মণ্ডপে অনেকে প্রতিমা বানায় না। তাদের জন্য বাড়িতেও কিছু প্রতিমা বানিয়ে রেখেছি, সেগুলো কমদামে পূজায় বিক্রি করবো।’ 

রাজাপুর উপজেলার কেন্দ্রীয় হরিসভা মন্দিরের প্রতিমা তৈরি করতে আসা ফরিদপুরের সমীর পাল বলেন, ‘প্রথম ধাপের কাজটি মূলত কঠিন ও দীর্ঘ সময়ের। আমরা ইতোমধ্যেই সেটি শেষ করেছি। বাকি কাজ দশ দিনের মধ্যেই শেষ হবে।’

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ঝালকাঠি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক বাবু তরুণ কুমার কর্মকার বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রতিটি মণ্ডপে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে কমিটির প্রধানদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে এবারের শারদীয় উৎসবকে বর্ণিলভাবে উদযাপন করবো আমরা। এ বছর দুর্গা মায়ের কাছে বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস থেকে মুক্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনা করা হবে।’