নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় আহত ৩, ইউপি সদস্য গ্রেফতার

বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে সদর ইউনিয়নে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় বসতবাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এ সময় তিন জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নবনির্বাচিত এক ইউপি সদস্যকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) মোড়েলগঞ্জ থানার ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, ২০ সেপ্টেম্বর ইউপি নিবার্চনকে কেন্দ্র করে বুধবার সদর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বাদুরতলা গ্রামে মেম্বার প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শহিদুল ইসলাম তালুকদার, ফুটবল প্রতীকের সমর্থক কাজী নজরুল ইসলাম, নূরুল ইসলাম কাজী, রফিকুল ইসলাম বিপ্লব কাজী ও কাঞ্চন কাজীর বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়ির গাছপালা, ঘেরাবেড়া ও জানালার গ্লাস ভেঙে তছনছ করেন ওই ওয়ার্ডের বিজয়ী সদস্য শাহীন আজাদ কাজীর (মোরগ প্রতীক) সমর্থকরা।

একই সময় হামলাকারীরা শহিদুল ইসলামের নিবার্চনি অফিসে ভাঙচুর চালিয়ে চেয়ার-টেবিল ও কেন্দ্রীয় নেতাদের ছবি তছনছ করে। এ সময় হামলাকারীদের এলোপাতাড়ি মারপিটে রফিকুল ইসলাম বিপ্লব কাজী (৪৫), শ্রমিক ইমরান খান (২৪) ও জাকির খান (৪৫) আহত হন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত রফিকুল ইসলাম বিপ্লব কাজীকে মোরেলগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

ইউপি সদস্য আব্দুর রউফ দাবি করেন, ঘটনার সময় তিনি ছিলেন না। তবে তার ভাইয়েরা ঘটনাটি ঘটিয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ৪০ বছর আগে শাহাদতের বাবার কাছ থেকে তার ভাই কুদ্দুস ১১ শতক জায়গা কিনেছিলেন। শাহাদতের বাবা ওই জায়গাতেই ঘরে করেছিলেন, তাই ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

ওসি জানান, এ ঘটনায় বিপ্লব কাজী বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য শাহিন কাজীকে গ্রেফতার করে।