৩৬০০ কেজি সরকারি চাল বিক্রির সময় গ্রেফতার ২

বগুড়ার ধুনটে রাতের আঁধারে বিক্রির সময় সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তিন হাজার ৬০০ কেজি চাল জব্দ করেছে পুলিশ। এ সময় দুই পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সোমবার রাতের এ ঘটনায় মঙ্গলবার ধুনট থানায় চৌকিবাড়ী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য ডিলার ফরহাদ হোসেনসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও তিন-চার জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। ধুনট থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা জানান, আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

গ্রেফতার দুজন হলেন– ধুনট উপজেলার চৌকিবাড়ী গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে আরিফ হোসেন (৪৪) এবং একই গ্রামের কালাম মণ্ডলের ছেলে ভটভটি চালক মঞ্জু মণ্ডল (৪২)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ধুনট উপজেলায় সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১০টি ইউনিয়নে ২০ জন ডিলার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা দুস্থদের মাঝে ১০ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল বিক্রি করছেন। একজন সুবিধাভোগী বছরের পাঁচ মাস ১০ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি চাল কিনতে পারবেন। তবে অভিযোগ রয়েছে, কিছু ডিলার ও জনপ্রতিনিধি এসব দুস্থদের সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কার্ড কৌশলে আটকে রেখে তাদের বরাদ্দ চালগুলো কালোবাজারে বিক্রি করে দেন।

সোমবার রাত ১০টার দিকে ধুনটের দীঘলকান্দি বাজারের সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার ইউপি সদস্য ফরহাদ হোসেন, আরিফ হোসেন, মঞ্জু মণ্ডল ও কপিল উদ্দিনসহ তাদের সহযোগীরা তিন হাজার ৬০০ কেজি চাল ভটভটিতে করে কালোবাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ সদস্যরা চৌকিবাড়ী গ্রামে অভিযান চালিয়ে উল্লিখিত দুজনকে গ্রেফতার করলেও অন্যরা পালিয়ে যান।

পুলিশ জানায়, ইউপি সদস্য ফরহাদ হোসেন তার স্ত্রীর নামে সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলারশিপ নিয়েছেন। তিনি গোপনে দুস্থদের সরকারি বরাদ্দ করা চাল রাতের আঁধারে কালোবাজারে বিক্রি করে দেন। ভটভটিতে বসে থাকা কয়েকজন দৌড়ে পালিয়ে গেলেও চালকের তথ্য অনুযায়ী চৌকিবাড়ি গ্রামের আরিফের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। ঘণ্টাব্যাপী সেখানে অভিযান চালিয়ে আরও কয়েক বস্তা সরকারি চাল উদ্ধার এবং চাল কালোবাজারে বিক্রির জন্য ভটভটি চালক মঞ্জু ও পাচারকারী আরিফকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার মহন্ত বলেন, ‘সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল কালোবাজারে বিক্রির ঘটনায় কেউ জড়িত থাকলে ডিলারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’