ধর্ষণের পর পুড়িয়ে হত্যা: বড় ভাইয়ের ফাঁসি, ছোট ভাইয়ের যাবজ্জীবন

ফরিদপুরে এক নারীকে ধর্ষণের পর পুড়িয়ে হত্যার দায়ে শাহাবুদ্দিন খান নামে এক ব্যক্তিকে ফাঁসি এবং তার ছোট ভাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে উভয়কে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এই মামলার অপর দুই আসামি খালাস পেয়েছেন। মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) প্রদীপ কুমার রায় এই আদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

সাজাপ্রাপ্ত শাহাবুদ্দিন ও সুমন জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার ধলাইরচর গ্রামের ছেকেন্দার খানের ছেলে। খালাস পাওয়া দুই আসামি হলেন– আছিয়া বেগম ও ঝুমুর বেগম।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) অ্যাডভোকেট স্বপন পাল জানান, আসামি শাহাবুদ্দিন প্রেমের অভিনয় করে ওই নারীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। এক পর্যায়ে ভুয়া কাবিননামা করে বিয়ের নামে ধর্ষণ করে। পরে ২০১১ সালের ২৭ জুন ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার ধলাইরচর গ্রামে নিজ বাড়িতে ডেকে নিয়ে শাহাবুদ্দিন ও সুমনসহ পরিবারের অন্য সদস্য আছিয়া বেগম এবং ঝুমুর বেগম মিলে ওই নারীকে হত্যার উদ্দেশ্যে গায়ে কেরোসিন দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। ভুক্তভোগীর চিৎকারে পাশের বাড়ির লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এই ঘটনায় ওই নারীর বাবা বাদী হয়ে ২০১১ সালের ৩ জুলাই আলফাডাঙ্গা থানায় নারী নির্যাতন ও হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় পুলিশ ওই বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। দীর্ঘদিন ধরে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রায় ঘোষণা করেন আদালত।