মুক্তাগাছায় গৃহবধূর মৃত্যু, স্বামী আটক

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার গাবতলী চাঁনপুর সালুয়া গ্রামে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নির্যাতনে তমা আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায়  নিহতের বাবা আবু তাহেরের অভিযোগের ভিত্তিতে হাসপাতাল থেকে অভিযুক্ত স্বামীকে পুলিশ আটক করেছে। তবে পালিয়ে গেছেন নিহতের শ্বশুর।

নিহতের বাবার অভিযোগ, ৯ মাস আগে মুক্তাগাছার গাবতলী চাঁদপুর সালুয়া গ্রামের তমা আক্তারের বিয়ে হয়। তার স্বামী নিজেকে মাস্টার্স পাস দাবি করলেও বিয়ের কিছুদিন পর প্রতারণা ধরা পড়ে। এ নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া লেগে থাকতো। এক পর্যায়ে তমা তার বাবার বাড়িও চলে যান। মাসখানেক আগে তমার স্বামী তাকে আবার ফিরিয়ে আনেন। শুক্রবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে ছোট বোনের বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা ছিল তমার। কিন্তু পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী ও তার পরিবার তমাকে বিয়েতে যেতে দেয়নি। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে নির্যাতনের শিকার হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন তমা। শুক্রবার বিকালে মুক্তাগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে সন্ধ্যায় তিনি মারা যান।

তমার বাবা আবু তাহের জানান, ‘নির্যাতনের কারণে তমাকে একবার বাড়িতেও নিয়ে গিয়েছিলাম। পরে দেনদরবার করে তাকে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। আমার ছোট মেয়ে তামান্নার বিয়ের অনুষ্ঠানকে ঘিরে ঝগড়া বাঁধলে শ্বশুরবাড়ির লোকজন নির্যাতন করে আমার মেয়েকে মেরে ফেলেছে।’

তমার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে মুক্তাগাছা থানার ওসি মাহমুদুল হাসান জানান, তমার বাবা থানায় অভিযোগ করেছেন। অভিযুক্ত স্বামীকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।