কুড়িগ্রাম সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নে ‘চাচির বঁটির কোপে’ দুই বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত চাচিকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মাস্টারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সদর থানার ওসি মাসুদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত শিশুর নাম দিশা। সে ওই গ্রামের অটোরিকশা শ্রমিক দুলালের মেয়ে। আটক চাচির নাম কামনা বেগম (৩২)। তিনি দুলালের বড় ভাই সাইদুল ইসলামের স্ত্রী। তবে কী কারণে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
নিহত শিশুর মায়ের বরাত দিয়ে তার আরেক চাচা ফখরুল জানান, মঙ্গলবার দুপুরে একমাত্র মেয়ে দিশাকে নিয়ে মা শাবনুর নদীকে কাপড় কাচতে যান। দিশাকে ফখরুলের স্ত্রীর কাছে দিতে বলে এক প্রতিবেশীর মাধ্যমে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু বাড়ির আঙিনায় দাঁড়িয়ে থাকা কামনা বেগম দিশাকে কোলে নেন। শাবনুর বাড়িতে ফিরে দিশাকে দেখতে না পেয়ে খোঁজ করতে থাকেন। এ সময় কামনার ছেলে সিদ্দিক (১৫) তাদের ঘরে গিয়ে দিশাকে মাথা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে এবং অভিযুক্ত কামনা বেগমকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
ফখরুল বলেন, ‘কামনা বেগম দীর্ঘদিন ধরে মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। চিকিৎসা চলছিল। বঁটি দিয়ে কুপিয়ে দিশার দেহ থেকে মাথা আলাদা করে ফেলেছেন। সবার সামনে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তবে কেন এমন নির্মমভাবে হত্যা করেছেন, সে বিষয়ে কিছু বলেননি। ’
ঘটনার পর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওহিদুন্নবী ও সদর থানার ওসি মাসুদুর রহমানসহ পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ওসি মাসুদুর রহমান বলেন, ‘নিহতের বাবা বাদী হয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বঁটি উদ্ধার করা হয়েছে।’
হত্যার কারণ কী জানতে চাইলে ওসি বলেন, ‘পরিবার ও স্থানীয়রা বলেছেন যে ওই নারী মানসিকভাবে কিছুটা ভারসাম্যহীন। ঠিক কী কারণে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন, তা তাৎক্ষণিক জানা যায়নি। তদন্ত চলছে।’