নির্বাচনি সহিংসতায় যুবলীগ নেতা নিহতের ঘটনায় মামলা

ভোলার দৌলতখান উপজেলায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় গুলিতে যুবলীগ নেতা খোরশেদ আলম টিটু (৩৫) নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। টিটুর ভাই মো. হানিফ বাদী হয়ে শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) রাতে ভোলা সদর মডেল থানায় এ মামলা দায়ের করেন।

মদনপুর ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী জামাল উদ্দিন সকেটকে প্রধান করে মামলায় ১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে তিন-চার জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনায়েত হোসেন শনিবার দুপুরে জানান, মামলার পর রাতেই পুলিশ সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের তুলাতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আবুল বাশারকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে। তিনি ওই এলাকার আবু সাঈদের ছেলে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

শুক্রবার বিকালে ভোলার দৌলতখানের মদনপুর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের বিজয়ী চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন নান্নু ডাক্তার ভোটারদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং আনন্দ মিছিলে অংশ নেন। অনুষ্ঠান শেষে বিকালে চেয়ারম্যানের লোকজন ভোলা শহরে ফেরার পথে নাছির মাঝি এলাকায় একই ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী সকেট জামাল গ্রুপের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ সময় উভয় গ্রুপের মধ্যে গুলির ঘটনাও ঘটে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নান্নু ডাক্তারের সমর্থক যুবলীগকর্মী টিটু মারা যান। ঘটনার পর থেকে মদনপুর ইউনিয়নে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

এদিকে শনিবার দুপুরে ভোলা সদরের ধনিয়া ইলিয়াছ মিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে জানাজার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে টিটুকে দাফন করা হয়।