শিশু ধর্ষণের দায়ে শিক্ষকের ৮ বছরের কারাদণ্ড

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে শিশু ধর্ষণের অপরাধে শিশু শিক্ষালয়ের শিক্ষককে আট বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম এই রায় দেন। আদালতের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আকরাম হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম মনিরুল ইসলাম (৪২)। তিনি ওই উপজেলার ভাঙ্গারগ্রাম এলাকার শুক্কুর আলীর ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরাবাদ ভাটিপাড়া গ্রামের আব্দুর রশিদের ছোট মেয়ে স্বপ্না বেগম ও তার স্বামী শামসুদ্দিন ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। তাদের পাঁচ বছর বয়সী সন্তান হামজা শেখ নানি ছকিনা বেগমের কাছে থাকতো। শিশু হামজা শেখকে পার্শ্ববর্তী ভাঙ্গারগ্রাম জামে মসজিদে ইসলামিক ফাউন্ডেশন পরিচালিত মসজিদভিত্তিক শিশু শিক্ষালয়ে ভর্তি করা হয়। ২০১৯ সালের ২ অক্টোবর সকালে শিক্ষালয়ের শিক্ষক মনিরুল ইসলাম সব ছাত্র-ছাত্রীদের ছুটি দিয়ে হামজাকে মসজিদের ভেতর ধর্ষণ করেন। পরে বাড়ি ফিরে গেলে শিশুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পরের দিন তার নানি বাদী হয়ে মনিরুলকে আসামি করে দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার রায়ে বিচারক নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩)-এর ১০ ধারায় আসামিকে এ দণ্ড দেন।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আকরাম হোসেন এবং আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট রেজাউল আমিন শামীম।