স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা অরেঞ্জ হত্যায় ব্যবহৃত পিস্তল উদ্ধার

বগুড়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নাজমুল হাসান অরেঞ্জ হত্যায় ব্যবহৃত পিস্তলটি উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে গ্রেফতার যুবলীগ নেতা শুটার রাসেল হোসেনের সহযোগিতায় সদর থানা পুলিশ শহরের মালগ্রাম ডাবতলা এলাকার ড্রেন থেকে অস্ত্রটি উদ্ধার করে। বুধবার দুপুরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জাকির আল আহসান দাবি করেন, অবৈধ এ বিদেশি পিস্তল দিয়েই অরেঞ্জকে গুলি করা হয়েছিল।

পুলিশ ও এজাহার সূত্র জানায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত ২ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে বগুড়া শহরের মালগ্রাম ডাবতলা এলাকায় প্রতিপক্ষের গুলিতে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সহ-সম্পাদক নাজমুল হাসান অরেঞ্জ এবং তার বন্ধু একই সংগঠনের ৮ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি মিনহাজ শেখ আপেল আহত হন। তাদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মাথায় গুলিবিদ্ধ অরেঞ্জের অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। সেখানে ১০ জানুয়ারি রাত ১১টার দিকে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরদিন দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে তাকে নামাজগড় গোরস্থানে দাফন করা হয়। অরেঞ্জ শহরের মালগ্রাম দক্ষিণপাড়ার রেজাউল ইসলামের ছেলে। আপেল একই সংগঠনের ৮ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি। এ ব্যাপারে নিহত অরেঞ্জের স্ত্রী স্বর্ণালি আকতার সদর থানায় রাসেল, খায়রুল ও টিপুসহ সাত জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও চার-পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জাকির আল আহসান জানান, মামলার পরপরই অন্যতম আসামি স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য টিপুকে গ্রেফতার করা হয়। এ ছাড়া র‌্যাব-৩ সদস্যরা ঢাকার বনানী থেকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রাসেল এবং র‌্যাব-১২ বগুড়া শহর থেকে যুবলীগ ৮ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলামকে গ্রেফতার করেন। রাসেলের স্বীকারোক্তিতে মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে ঘটনাস্থল শহরের মালগ্রাম ডাবতলার একটি ড্রেন থেকে অরেঞ্জ হত্যায় ব্যবহৃত পিস্তলটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে পিস্তলে ম্যাগাজিন থাকলেও গুলি ছিল না। বুধবার বিকালে গ্রেফতার আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া অপর আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।