দেওয়ানগঞ্জে ফের বন্য হাতির তাণ্ডব: ফসল-বাড়িঘরের ব্যাপক ক্ষতি

জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় মাখনেরচর গ্রামে গত কয়েক দিন ধরে বন্য হাতির তাণ্ডব চলছে। সোমবার রাতে হাতির পাল অন্তত ৫০ বিঘা জমির ফসল ও দুটি বাড়ির ব্যাপক ক্ষতি করেছে।

স্থানীয়রা জানান, সোমবার রাত ১০টার দিকে পার্শ্ববর্তী ভারতের মেঘালয় রাজ্যের  তুরা জেলার মহেন্দ্রগঞ্জ থানার বালুঘাট এলাকা থেকে প্রায় ৩০/৩৫টি বন্য হাতির পাল ডাংধরা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী  মাখনেরচর গ্রামে তাণ্ডব চালায়। এ সময় হাতির পাল কমপক্ষে ৩০ জন কৃষকের ৫০ বিঘা জমির ফসল, আমবাগানসহ দুটি বাড়ির ব্যাপক ক্ষতি করে।জামালপুর
আরও জানা যায়, বন্য হাতির পাল রাতে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশের ভেতরে ঢুকে পরে। এ সময় হাতির পাল কৃষক আব্দুস সাত্তার, রাকিবুল ইসলাম, আফসার আলী, শুকুর মিয়া, রহিম, আব্দুর রাজ্জাক, আঃ আজিজ, মজিদ, শহীদুর রহমান, নূরুজ্জামান,আব্দুর রহিম, নূরে আলম, মোজাম্মেল, তাহের মুন্সি. মজনু মিয়াসহ ৩০ জন কৃষকের ২০ বিঘা সরিষা ও প্রায় ২৭ বিঘা গমের ক্ষেত নষ্ট করে। এছাড়াও হাতির পাল আশরাফ আলীর ৩ বিঘা মশুর কালাই ডাল নষ্ট করে।
ওই সময় এলাকার লোকজন ঢাক ঢোল পিটিয়ে,আগুন জ্বালিয়ে হাতির আক্রমণ প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। এতে হাতির পাল ক্ষিপ্ত হয়ে কৃষক জহুরুল ইসলামের দুটি বসত ঘর তছনছ করে। হাতির পাল রাত তিনটার দিকে ভারতে ফিরে যায়।
স্থানীয় কৃষক নূরুজ্জামান বলেন, ‘বন্য হাতির পাল আমার আম বাগানের বেশিরভাগ অংশই নষ্ট করে ফেলেছে।’

ডাংধরা ইউপি সদস্য লুৎফর রহমান জানান, হাতির আক্রমণ রোধে কয়েক দিন আগে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের  চারটি জেনারেটর ও টর্চ লাইট সরবরাহ করা  হয়েছে। কিন্তু জ্বালানি তেল, বাতি, বৈদ্যুতিক তার ইত্যাদি সরঞ্জামের অভাবে এগুলো এখন পর্যন্ত ব্যবহার করা যাচ্ছে না। তবে গ্রামবাসীদের কাছ থেকে চাঁদা তুলে সরঞ্জামগুলো কেনার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তিনি জানান, গ্রামগুলোতে রাতে আলোর ব্যবস্থা না থাকায় অন্ধকারের মধ্যে হাতির পাল সহজেই এখানে ঢুকে তাণ্ডব চালাচ্ছে। বৈদ্যুতিক বাতির আলোর ব্যবস্থা থাকলে হাতির পাল গ্রামের ভেতর আসতে ভয় পেত।

দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, গ্রামগুলোতে রাতে বন্য হাতির তাণ্ডব রোধে চারটি জেনারেটরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এগুলোর ব্যবহার শুরু করা হলে হাতির পাল গ্রামগুলোতে ঢুকতে ভয় পাবে।

/এফএস/