৩ বছর কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ২৩ নারী-শিশু

অবৈধ পথে ভারত গিয়ে তিন বছর কারাভোগ শেষে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে যশোরের বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরলেন ২৩ বাংলাদেশি নারী ও শিশু। মঙ্গলবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টায় তাদের ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

ভুক্তভোগীরা জানান, বিভিন্ন মেয়াদে ভারতে কারাভোগ করেছেন তারা। পরে বেনাপোল পোর্ট থানা থেকে তিনটি এনজিও সংস্থা তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তরের জন্য যশোর শেল্টার হোমে নিয়ে যায়।

ফেরত আসাদের মধ্যে ১৪ জন মেয়ে ও ৯ জন ছেলে রয়েছেন। তাদের বয়স ৩ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। তাদের বাড়ি নড়াইল, বাগেরহাট, খুলনা, শরীয়তপুর, ময়মনসিংহ, নরসিংদী, লালমনিরহাট, নোয়াখালী, ঢাকা, মুন্সীগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।

যশোরের এনজিও সংস্থা জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার শাওলি সুলতানা বলেন, ‘বিভিন্ন সময়ে দালালের খপ্পরে পড়ে ভালো কাজের আসায় ২০১৬ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ভারতে যান ওই ২৩ জন। ভারতের কলকাতার বিভিন্ন বাসাবাড়িতে কাজ করার সময় তারা সে দেশের পুলিশের হাতে আটক হয়। সেখান থেকে আদালতের মাধ্যমে কলকাতা ও বারাসতের সুকন্যা, কিশোলয়া ও ধ্রুব আশ্রম নামে এনজিও সংস্থাগুলো তাদের ছাড়িয়ে নিজেদের শেল্টার হোমে রাখে। তিন বছর সাজাভোগের পর মঙ্গলবার তাদের ফেরত পাঠায় ভারতীয় পুলিশ।’

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ বলেন, ‘এসব নারী-শিশু পাসপোর্ট ছাড়া বিভিন্ন সীমান্ত পথে ভারতে যান। কলকাতার বিভিন্ন অঞ্চলে বাসা বাড়িতে কাজ করার সময় সে দেশের পুলিশের হাতে তারা আটক হন। এরপর আদালতের মাধ্যমে তারা জেলহাজতে যান। পরে ভারতের বিভিন্ন এনজিও সংস্থা তাদের জেল থেকে ছাড়িয়ে নিজেদের শেল্টার হোমে রাখে। সেখানে দুই থেকে পাঁচ বছর থাকার পর আজ দেশে ফিরে এসেছে ভারত সরকারের দেওয়া বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে।’

ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ফেরত আসাদের বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে তাদের জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার নামে এনজিও সংস্থা যশোরে নিজস্ব শেল্টার হোমে রাখবে। পরে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে।

বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি (তদন্ত) কামাল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘থানার আনুষ্ঠানিকতা শেষে পাচার হওয়া নারী-শিশুদের এনজিও প্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’