অটোচালককে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ৪

নাটোরের বড়াইগ্রামের মহিষভাঙ্গা এলাকার অটোরিকশা চালক খোরশেদ আলম মিলনকে (৩২) হত্যার ঘটনায় চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় ছিনতাই হওয়া অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার (১৭ মে) দুপুরে পুলিশ সুপার (এসপি) লিটন কুমার সাহা এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।

গ্রেফতার চার জন হলো– নাটোরের লালপুরের ডাঙ্গাপাড়ার নাজমুল হোসেনের ছেলে সজীব হোসেন (১৯), একই এলাকার আরজ আলীর ছেলে রবিউল ইসলাম (২৩), সদর উপজেলার আসাদুল মিস্ত্রির ছেলে মেহেদী হাসান (২২) এবং সৈয়দ আহমেদের ছেলে সাগর আলী (৪০)।

পুলিশ সুপার জানান, ১৫ মে সন্ধ্যায় ওই অটোচালকের লাশ লালপুর উপজেলার কদুমচিলান এলাকার এক আখক্ষেত থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় হত্যা মামলার পর আসামিদের গ্রেফতারে মাঠে নামে জেলা পুলিশের ছয়টি দল।

তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ১৬ মে সকালে আসামি সজীবকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। সে জানায়, মেহেদী, রবিউল এবং অপর একজন মিলে ভিকটিমের ইজিবাইক ছিনতাই করার উদ্দেশ্যে তারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। ভিকটিম মিলন আসামি সজীব ও রবিউলের পূর্ব পরিচিত। ঘটনার আগে গত ১৩ মে রাতে ওই অটোতে তারা বনপাড়া থেকে ২৫০ টাকা ভাড়ায় ঘাটচিলান গ্রামে যায়। সে সময় ইজিবাইকটি ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে তারা। পরিকল্পনামতো গত ১৪ মে রাত ১১টা ৩৬ মিনিটে আসামি রবিউল ফোন দিয়ে মিলনকে ডেকে নেয়। এরপর সজীব, মেহেদী, রবিউল ও অপর একজন ইজিবাইকে যাত্রীবেশে বনপাড়া থেকে রওনা হয়ে লালপুর থানার ঘাটচিলান গ্রামে যায়। সেখানে আখক্ষেতে মিলনকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ইজিবাইকটি নিয়ে পালিয়ে যায়।

গ্রেফতার সজীবের দেওয়া তথ্যে ১৬ মে রবিউল ও মেহেদীকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর রবিউল ও মেহেদীর দেওয়া তথ্যে সাগর আলীর হেফাজত থেকে ছিনতাই হওয়া ইজিবাইকটি উদ্ধার করা হয়।

ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপর আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান এসপি।