বিদ্যালয়ের গাছের আম পাড়ায় শিক্ষার্থীকে জুতাপেটা

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে এক শিক্ষার্থীকে জুতাপেটাসহ তার পরিবারকে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে। ওই শিক্ষার্থীকে জুতা দিয়ে পেটানোর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পরপরই বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২১ মে গোদাগাড়ীর পালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে। বিদ্যালয়ের আম পাড়াকে কেন্দ্র করে দশম শ্রেণির এক ছাত্রকে জুতাপেটা করেন বিদ্যালয়ের লাইব্রেরিয়ান ও তথ্য বিজ্ঞানের শিক্ষক কামারুজ্জামান টিপু এবং পিয়ন খালেদ হোসেন।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, পায়ের জুতা খুলে ওই শিক্ষার্থীকে পেটাচ্ছেন কামারুজ্জামান টিপু। পিয়ন খালেদও শিক্ষার্থীকে হাত দিয়ে মারছেন।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে কামারুজ্জামান টিপু বলেন, ‘এখানে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। ওই শিক্ষার্থী আরও কয়েকজন শিক্ষার্থীকে নিয়ে গ্যাংয়ের মতো চলাফেরা করে। সে বিদ্যালয়ের গাছ থেকে আম পাড়লে তার সহপাঠীরা আমার কাছে অভিযোগ দেয়। তার কাছে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে সে প্রধান শিক্ষকসহ অন্য শিক্ষকদের সঙ্গে উচ্চবাচ্য করে। এক পর্যায়ে ওই শিক্ষার্থীর দিকে এগিয়ে যেতে গিয়ে প্রধান শিক্ষক পড়ে যান। বিষয়টি দূর থেকে দেখে আমার কাছে মনে হয়, ওই শিক্ষার্থী প্রধান শিক্ষককে ফেলে দিয়েছে। এ কারণে উত্তেজিত হয়ে হাতের কাছে কিছু না পেয়ে স্যান্ডেল দিয়ে পিটিয়েছি। তবে বিষয়টি নিয়ে আমি খুবই অনুতপ্ত।’

তিনি জানান, পরে প্রধান শিক্ষকসহ ওই শিক্ষার্থী ও তার পরিবারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে মীমাংসা হয়ে গেছে। কিন্তু তৃতীয় একটি পক্ষ পরিকল্পিতভাবে ভিডিওটি ছড়িয়েছে।

ঘটনার বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, ‘ঘটনার পরপরই আমি শিক্ষকের হাত ধরে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি।’ এ কথা বলার পরে সে ফোন কেটে দেয়। এরপর আর ফোন রিসিভ করেনি।

এ বিষয়ে পালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসাদুল আলম বলেন, ‘এ ঘটনার পরপরই বিষয়টি মীমাংসা হয়ে গেছে।’

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দুলাল আলম জানান, ঘটনাটি তিনি জেনেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জানে আলম বলেন, ‘সত্যতা যাচাই করে এ ঘটনায় জড়িতের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’