১৯ নিখোঁজের সন্ধানে ডিএনএ নমুনা দিয়েছেন ৩৩ স্বজন

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখনও শনাক্ত হয়নি ফায়ার সার্ভিসের তিন কর্মীর পরিচয়। তারা সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনার পর নিখোঁজ হন। তাদের খোঁজ পাচ্ছেন না পরিবার। পরিচয় শনাক্তে তাদের স্বজনরা ডিএনএ নমুনা দিয়েছেন। এ তিন জনসহ মোট ১৯ জনকে নিখোঁজ দাবি করে তাদের ৩৩ জন স্বজন ডিএনএ নমুনা দিয়েছেন।

নিখোঁজ তিন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী হলেন– রবিউল ইসলাম, মো. ইমরান ও ফরিদুজ্জামান। তারা সীতাকুণ্ড ও কুমিরা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের দায়িত্বে ছিলেন।

এদিকে নিখোঁজদের শনাক্তে  নমুনা সংগ্রহে কাজ করছেন সিআইডি ফরেনসিন ল্যাবের আট সদস্য। তাদের মধ্যে পাঁচ জন এসেছেন ঢাকা থেকে। তারা হলেন– এসআই টুটুল, এসআই শিশির চন্দ্র, এসআই সাইদুল, এএসআই অশোক কুমার, কনস্টেবল জহির।

ডিএনএ নমুনা সংগ্রহে নেতৃত্বে আছেন চট্টগ্রাম সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘যারা এ দুর্ঘটনায় স্বজন নিখোঁজ আছেন দাবি করছেন তাদের ডিএনএ সংগ্রহ করা হচ্ছে। নিখোঁজের মা-বাবা, ভাই-বোন কিংবা সন্তানদের মধ্যে যেকোনও দুজনের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। যেসব লাশ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি সেগুলো নমুনার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে।’

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার বলেন, ‘দুর্ঘটনার স্থান থেকে চমেক হাসপাতালে ৪১ জনের লাশ আনা হয়। সেগুলোর মধ্যে বেলা ৩টা পর্যন্ত ২৬ জনের লাশ শনাক্ত করা হয়। এর মধ্যে ২২ জনের লাশ স্বজনদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।’