সুনামগঞ্জে বন্যার্তদের মাঝে হাহাকার

সুনামগঞ্জে চলছে হাহাকার। কেউ কাউকে সাহায্য করার মতো অবস্থা নেই। রয়েছে খাবার সংকট। বেশি টাকা দিয়েও খাবার পাওয়া যাচ্ছে না। এক প্যাকেট (৫টি) ছোট মোমবাতি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়।

বন্যার কারণে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই সারা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এই জেলা। সোমবার পর্যন্ত কোনও কিছুই স্বাভাবিক হয়নি। কিছু সময় পর পর হেলিকপ্টার দিয়ে বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে সেনাবাহিনীর টিম।

ডুবে গেছে বিদ্যুৎকেন্দ্রএদিকে, সুরমার পানি এখনও বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৫৩ মিলিমিটার। সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে পানি কিছুটা কমলেও নিচু সড়ক ও ঘরবাড়ির পানি এখনও নামেনি।

সুনামগঞ্জের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল কাশেম বলেন, ‘আমরা প্রায় পাঁচ লাখ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করেছি। এ ছাড়াও গাড়িতে করে ৬০ হাজার লিটার বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করেছি আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে।’

পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, ‘বন্যার মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে পুলিশ সজাগ আছে যাতে ডাকাতি বা চুরি না হয়। এ ছাড়া বন্যার্তদের সাহায্য করতে জেলার সব উপজেলায় কাজ করছে পুলিশ।’

সড়ক ও ঘরবাড়ির পানি এখনও নামেনিজেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আমরা উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছি ও শুকনো খাবার বিতরণ চলছে। যৌথবাহিনী কাজ করছে।’