পেঁয়াজের কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা

সরবরাহ কমের অজুহাতে দুই দিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা। দুই দিন আগেও প্রতি কেজি ৩০ টাকা বিক্রি হয়েছে। শুক্রবার (২৩ জুন) সকাল থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, পেঁয়াজের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষজন। এ অবস্থায় ভারত থেকে আমদানি শুরু হলে দাম কমবে বলে জানান তারা।

সকালে হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা সিদ্দিক হোসেন বলেন, ভারত থেকে আমদানি বন্ধ থাকলেও বেশ কিছুদিন ধরে আমরা ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে কিনছিলাম। কিন্তু দুই দিনের ব্যবধানে ৪০ টাকা কেজি ধরে কিনতে হচ্ছে। চাল-ডাল ও তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। এরই মধ্যে আবারও পেঁয়াজের দাম বাড়ায় খুব সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

মিরাজুল ইসলাম বলেন, দুই দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে গেলো। এতে আমাদের মতো নিম্নআয়ের মানুষদের বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। সামনে ঈদ আসছে, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। এ সুযোগে ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। বাজারে অভিযান ও পেঁয়াজ আমদানির অনুরোধ জানাচ্ছি।

হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা শাকিল খান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, সরকার আইপি ইস্যু না করায় কিছুদিন ধরে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। এতদিন বাজারে পর্যাপ্ত দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ থাকায় দাম নাগালের মধ্যে ছিল। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিশেষ করে যেসব এলাকায় উৎপাদন বেশি হয়, সেসব এলাকায় বৃষ্টিপাত ও বন্যার কারণে পেঁয়াজের সরবরাহ কমেছে। আগে এক হাজার ২০০ টাকা প্রতি মণ বিক্রি হলেও বর্তমানে এক হাজার ৬০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। বাড়তি দামে কেনার কারণে আমাদেরকে বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে সামনে যেহেতু কোরবানির ঈদ, সে সময়ে বাড়তি চাহিদা থাকায় আমদানি শুরু হতে পারে। আমদানি শুরু হলে দাম কমে আসবে।

হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূর-এ আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বাজারে কেউ যাতে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে কোনও পণ্যের দাম বাড়াতে না পারে সে জন্য আমরা নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছি। পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। কারও বিরুদ্ধে দাম বাড়ানোর অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রসঙ্গত, দেশের কৃষকের উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে ও আমদানি নির্ভরতা কমাতে ইমপোর্ট পারমিট (আইপি) ইস্যু বন্ধ রেখেছে সরকার। ফলে ৫ মে থেকে হিলিসহ দেশের সবগুলো স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে।