বিয়ের ৬ দিন পর গৃহবধূকে কুপিয়ে ‘হত্যা’, যুবক গ্রেফতার

শেরপুরে প্রতিবেশীর দায়ের কোপে দিতি (১৮) নামে এক নববধূ নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল জানান, বুধবার (২৯ জুন) রাতে জেলার নালিতাবাড়ী পৌর শহরের কালিনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

দিতি কালিনগর গ্রামের মুছা মিয়ার মেয়ে।

পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, কালিনগর গ্রামের মৃত আবদুল হামিদের ছেলে রহুল আমিন (২৫) মাদকাসক্ত।  গত ২৩ জুন তার প্রতিবেশী মুছা মিয়ার মেয়ে দিতির বিয়ে হয় চেল্লাখালী সন্ন্যাসীভিটা এলাকার খাইরুল নামে এক যুবকের সঙ্গে। বিয়ের পর দিতিকে বাবার বাড়ি রেখে খাইরুল পেশাগত কাজে কর্মস্থল ঢাকায় যান।

রহুল নিজেই পুলিশের কাছে এসে হত্যার কথা স্বীকার করেনবুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রহুল তার ভাবি রাহেলাকে নিয়ে দিতির বাবার বাড়িতে যান। এ সময় রাহেলা দরজা খুলতে বললে দিতি দরজা খুলে দেন। সঙ্গে সঙ্গে রহুল বটিদা নিয়ে দিতির মাথায় কোপ দেন। চিৎকার দিয়ে ঘরের মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন দিতি। এরপর তার মা মনোয়ারা বেগমের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এলে রহুল পালিয়ে যান। পরে স্বজনরা দিতিকে উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। পথে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে রহুলের ভাবি রাহেলাকে আটক করে। একপর্যায়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে রহুল নিজেই পুলিশের কাছে এসে হত্যার কথা স্বীকার করেন।

এ বিষয়ে ওসি বলেন, ‘লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় দিতির বাবা থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।’