ঘাটে যানজট নেই

প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে শুরু হয়ে গেছে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা। এতে চাপ বেড়েছে রাজবাড়ীর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে। তবে ঘাটে যানজট নেই। অপেক্ষা করতে হচ্ছে না কোনও গাড়িকে।

সরেজমিন বুধবার (৬ জুলাই) সকাল থেকে দৌলতদিয়া ঘাটে ঘরমুখো যাত্রী ও ব্যক্তিগত যানবাহনের চাপ লক্ষ করা গেছে। তবে বড় যানবাহনের তুলনায় মোটরসাইকেল ও ছোট গাড়ির সংখ্যাই বেশি।

ঘাট সংশ্লিষ্টরা জানান, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ছোট-বড় মোট ২১টি ফেরির মধ্যে ১৮টি সচল রয়েছে। বাকি তিনটি ফেরি শাহ আলী, মতিউর ও বনলতা পাটুরিয়ার ভাসমান কারখানা মধুমতিতে মেরামতে রয়েছে।

এদিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে দৌলতদিয়া ঘাট প্রান্তে ফেরি পারের জন্য ঢাকাগামী যানবাহনের কোনও সারি নেই। নদী পারের জন্য আসা গাড়ি সরাসরি ফেরিতে উঠতে পারছে। বুধবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ছয় ঘণ্টায় দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ১১০টি যাত্রীবাহী বাস, ৪০০টি পণ্যবাহী ট্রাক ও ২২০টি ছোট যানসহ মোট ৭৩০টি যান পাটুরিয়া ঘাটে গেছে।

দৌলতদিয়া ৫নং ফেরিঘাটে কথা হয় যশোরগামী মোটরসাইকেল আরোহী সুলতান মাহমুদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ঈদের সাত দিন মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। তাই আজ ভোরেই উত্তরা থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে বের হয়েছি।’

পরিবার নিয়ে ফেরি পার হয়ে আসা কুষ্টিয়াগামী যাত্রী ফয়সাল হোসেন বলেন, ‘ঈদ বাড়িতে করবো বলে সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে আগেই রওনা হয়েছি। পথে কোনও সমস্যা হয়নি। গাবতলী থেকে পাটুরিয়া ঘাট পর্যন্ত সড়ক ফাঁকাই ছিল। বাকি পথটুকু ভালোমতে যেতে পারলেই হয়।’

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান বলেন, ‘আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে আমরা সার্বক্ষণিক কাজ করছি। বর্তমানে তিনটি ফেরি পাটুরিয়ার ভাসমান কারখানা মধুমতিতে মেরামতে রয়েছে। আশা করছি, আগামী শুক্রবার থেকে ২১টি ফেরিই চলাচল করবে।’