সোহাগপুর বিধবাপল্লী এখন ‘বীরকন্যা পল্লী’

সোহাগপুর বিধবাপল্লী এখন ‘বীরকন্যা পল্লী’মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজরিত শেরপুরের সোহাগপুর বিধাপল্লীকে ‘বীরকন্যা পল্লী’ বলে ঘোষণা করছেন সেক্টর কমান্ডার ফোরামের নেতারা। শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার কাকরকান্দি ইউনিয়নের সোহাগপুর গ্রামের শহীদ জায়াদের মধ্যে শীতবস্ত্র ও উপহার সামগ্রী বিতরণের সময় সেখানে আয়োজিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে বৃহস্পতিবার সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম এই ঘোষণা দেন।
সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাবেক সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল (অব.) কে এম শফিউল্লাহ বীরোত্তমের নেতৃত্বে সহ-সভাপতি সাবেক সেনাপ্রধান লে. জেনারেল (অব.) হারুন-অর রশিদ, মহাসচিব সাংবাদিক লেখক-কলামিস্ট হারুণ হাবীব, যুগ্ম-মহাসচিব অধ্যাপক এ কে আজাদ পাটোয়ারি, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী বুলবুল মহালনবিশসহ অন্যান্য নেতারা বৃহস্পতিবার মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত সোহাগপুর গ্রামে যান এবং গ্রামের শহীদ পরিবারের মধ্যে উপহার সামগ্রী ও অনুদান প্রদান করেন।
শহীদ স্মৃতি ফলকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন শেষে স্থানীয় কাকরকান্দি হাইস্কুল মাঠে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম শেরপুর জেলা কমিটি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
সেক্টর কমান্ডার ফোরামের নেতারা বলেন, ‘যাদের রক্তে দেশ স্বাধীন হয়েছে, আমরা একটি স্বাধীন ভূখণ্ড পেয়েছি, তাদের রক্তে রঞ্জিত পবিত্র এ ভূমি বিধবাপল্লী হতে পারে না। এখানকার সবাই বীরকন্যা। আজ থেকে আর বিধবা পল্লী নয়। এখন থেকে সোহাগপুর গণহত্যাস্থলের নতুন নাম হবে বীরকন্যা পল্লী। সোহাগপুরের বীর কন্যাদের সাক্ষ্যেই যুদ্ধাপরাধী কামারুজ্জামানের ফাঁসি হয়েছে।’

১৯৭১ সালের ২৬ জুলাই শেরপুরে নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী সোহাগপুর গ্রামে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের এ দেশীয় দোসরদের সহায়তায় ছয় ঘণ্টার তাণ্ডব চালিয়ে, গুলি করে-বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে ১৮৭ জন পুরুষকে হত্যা করে। এরপর থেকেই সোজাগপুর গ্রামটি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে সোহাগপুর বিধবাপল্লী নামে পরিচিতি পায়। বাসস।

/এফএস/