পুকুরে গৃহবধূর লাশ, হত্যার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে খাদিজা বেগম (২১) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার পর পুকুরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বাড়ির বিরুদ্ধে। সোমবার ভোররাতে নাসিরনগর উপজেলার কুন্ডা ইউনিয়নের জিহাদনগর গ্রামের একটি পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

খাদিজা সরাইল উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের জয়ধরকান্দি গ্রামের জরু মিয়ার মেয়ে।

খাদিজার চাচাতো ভাই ইমার উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, ‘তিন বছর আগে তিন লাখ টাকার কাবিননামায় কুন্ডা ইউনিয়নের জিহাদনগর গ্রামের মৃত কালাগাজীর ছেলে শফিক মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় খাদিজার। বিয়ের পর তাদের একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। যৌতুকের টাকার জন্য খাদিজাকে প্রায়ই মারধর করতো শফিক ও তার পরিবারের লোকজন। এজন্য তিন মাস আগে খাদিজা বাবার বাড়িতে চলে আসে। এর কিছুদিন পর শফিকের বাড়ির লোকজন সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসা করেন। রবিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে খাদিজার পরিবারের লোকজনের কাছে মোবাইল ফোনে জানানো হয়, সে পানিতে পড়ে মারা গেছে। পরে নাসিরনগর থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ সেখানে গিয়ে পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে।’

যৌতুকের টাকার জন্যই তাকে নির্যাতন করে হত্যার পর লাশ পানিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে খাদিজার পরিবার। এ ঘটনায় তারা খাদিজার স্বামী ও শাশুড়ির বিচার দাবি করেন।

নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হাবিবুল্লাহ সরকার জানান, প্রাথমিকভাবে নিহতের শরীরে আঘাতের কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তার পায়ে জুতা ছিল। লাশ ময়নাতদন্তের জন্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়ার পর্যন্ত মৃত্যুর বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না।