সুস্থ আছে সড়কে জন্ম নেওয়া নবজাতকটি

ময়মনসিংহের ত্রিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় মায়ের মৃত্যুর আগ মুহূর্তে জন্ম নেওয়া সেই নবজাতক শিশুটি সম্পূর্ণ সুস্থ আছে। শিশুটি বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক বিভাগে ভর্তি আছে।

আরও খবর: সড়কে মা-বাবাকে হারিয়ে অথই সাগরে ৩ শিশুসন্তান

মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) রাতে হাসপাতালের নবজাতক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডাক্তার নজরুল ইসলাম জানান, শিশুটি হাসপাতালে ভর্তির আগে থেকেই জন্ডিসে আক্রান্ত ছিল। তার রক্তস্বল্পতা দেখা দিয়েছিল এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল। ভর্তির পর থেকেই শিশুটিকে রক্ত দেওয়া হয়েছে এবং জন্ডিসের কারণে ফটো থেরাপি দেওয়া হচ্ছে।
 
 

তিনি আরও জানান, মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক শিশুটির চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সে বর্তমানে সম্পূর্ণ সুস্থ। যেকোনও সময় তাকে ছুটি দিয়ে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

 

উল্লেখ্য, জন্মের পর শিশুটিকে ময়মনসিংহ মহানগরীর চরপাড়া এলাকার লাবিব প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত ১৮ জুলাই সেখান থেকে স্থানান্তর করে তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক বিভাগে ভর্তি করা হয়। শিশুটির চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উচ্চ পর্যায়ের পাঁচ সদস্যের একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে।

এর আগে গত শনিবার (১৬ জুলাই) ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ত্রিশালের দরিরামপুর এলাকায় ট্রাকচাপায় একই পরিবারের তিন জন মারা যায়। মায়ের মৃত্যুর আগ মুহূর্তে গর্ভ থেকে একাকী জন্ম নেয় নবজাতক শিশুটি।

 

প্রসঙ্গত, ১৬ জুলাই নবজাতকটি গর্ভে থাকা অবস্থায় আল্ট্রাসনোগ্রাম করার জন্য ত্রিশালের পৌর এলাকায় যান রত্না বেগম (২৬) নামে এক নারী। সঙ্গে ছিলেন তার স্বামী ও মেয়ে। ওই দিন দুপুরে ত্রিশালের পৌর এলাকার দড়িরামপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক পার হওয়ার সময় ময়মনসিংহগামী মালবাহী একটি ট্রাক তাদের চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই নিহত হন তিন জন। তারা হলেন— ত্রিশাল উপজেলার মঠবাড়ি ইউনিয়নের রায়মনি গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম (৩৫), তার স্ত্রী রত্না বেগম (২৬) ও আড়াই বছরের মেয়ে জান্নাত আরা। ট্রাকের চাপায় রত্নার গর্ভে থাকা সন্তান বের হয়ে আসে। মর্মান্তিকভাবে জন্ম নেওয়া শিশুটির অবস্থাও আশঙ্কাজনক ছিল।