‘কখন যে ট্রেনের ধাক্কায় পড়ে গেছি বুঝতে পারিনি’

‘ট্রেনে যখন ধাক্কা দেয় তখন আমি মাইক্রোবাসের পেছনে ছিলাম। কখন যে ধাক্কায় আমি গাড়ি থেকে পাশের বিলের মধ্যে পড়ে গেছি তা বুঝতে পারিনি।’ এসব কথা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন মিরসরাইয়ে দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া যাত্রী জুনায়েদ কায়সার ইমন (২২)। তিনি চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন।

আরও পড়ুন: মীরসরাইয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের ১১ যাত্রী নিহত

দুর্ঘটনার সময় রেল ক্রসিংটি অরক্ষিত ছিল জানিয়ে ইমন বলেন, ‘ট্রেন যখন আসে তখন গেটে বাঁশের প্রতিবন্ধক ছিল না। এমনকি কোনও গেটম্যানও ছিল না। এ কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে।’

তিনি বলেন, ‘আমি জিয়াউর রহমান কলেজে একাদশ শ্রেণির ছাত্র। আমান বাজার এলাকায় অবস্থিত আর অ্যান্ড জে কোচিং সেন্টারের ছাত্র। কোচিং সেন্টার থেকে সকাল ৭টায় বেড়াতে গিয়েছিলাম মিরসরাইয়ে। মাইক্রোচালক-হেলপারসহ ওই গাড়িতে মোট ১৮ জন ছিলাম।’

ইমন জানান, তাদের মাইক্রোবাসে আজমির, মাহিন, হৃদয়, আয়াত, শওকত, মারুফ, হিসাম, আসিফ, শান্তি, হাসান, জিসান, রিদুয়ান, সজীব, রাকিব ও সাজাদ ছিলেন। এ ছাড়া গাড়িচালক ও হেলপার ছিলেন।

জুনায়েদ কায়সার ইমন হাটহাজারী উপজেলার চিকনদন্ডি ইউনিয়নের আবুল কাসেমের ছেলে।

আরও পড়ুন: চমেক হাসপাতালে নিহত ১১ জনের স্বজনদের আর্তনাদ 

সার্জারি ওয়ার্ডের চিকিৎসক ডা. নাজমুন নাহার বলেন, ‘জুনায়েদ কায়সার ইমন গুরুতর আহত নন। তিনি হাত ও পায়ে কিছুটা আঘাত পেয়েছেন। তবে তিনি মানসিকভাবে বেশি অসুস্থ।’

প্রসঙ্গত, শুক্রবার (২৯ জুলাই) আর অ্যান্ড জে কোচিং সেন্টারের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ ১৬ জন শুক্রবার সকাল ৮টায় হাটহাজারীর আমান বাজার থেকে মাইক্রোবাসযোগে খৈয়াছড়া ঝরনায় ঘুরতে যান। ঘোরাঘুরি শেষে ফেরার পথে দুপুর পৌনে ২টার দিকে বারতাকিয়া রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দেয় চট্টগ্রামমুখী মহানগর প্রভাতী ট্রেন। এতে ঘটনাস্থলেই ১১ জন নিহত হন। আহত হন আরও পাঁচ জন। তাদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।