বান্দরবানে শিক্ষককে হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড

বান্দরবানের রুমায় শিক্ষক নুশৈ মং মারমাকে হত্যা মামলায় হ্লাসিং মং মারমা নামে একজনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) বান্দরবানের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু হানিফ এ আদেশ দেন।

ফাঁসির আদেশপ্রাপ্ত হ্লাসিং মং মারমা রুমার ১ নম্বর পাইন্দু ইউনিয়নের পাইন্দু উজানিপাড়ার ক্যঅং প্রু মারমার ছেলে।

সূত্রে জানা যায়, নিহত শিক্ষক নুশৈ মং মারমা স্থানীয় একটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। তিনি বিভিন্ন সময় স্থানীয় পাড়া কারবারি (পাড়াপ্রধান) ক্যং অং প্রু মারমা ও তার ছেলে হ্লাসিং মং মারমাসহ অন্য ছেলেদের অন্যায় কাজের প্রতিবাদ করতেন। এ কারণে নুশৈ মং মারমার ওপর তারা ক্ষিপ্ত ছিলেন। এরই জের ধরে ২০১৭ সালের ২৬ জুলাই সকাল ১০টায় পার্শ্ববর্তী জুম ক্ষেতে গেলে দেশি অস্ত্র দিয়ে নুশৈ মং মারমাকে তারা হত্যা করে। রাতে স্বামী ঘরে ফিরে না আসায় নুশৈর স্ত্রী ছৌমে মারমা তার ছোট ভাই মংশৈ মারমাকে নিয়ে সন্ধ্যা ৬টায় জুম ক্ষেতে যান। তিনি রাস্তার ঢালুতে স্বামীর মরদেহ দেখতে পেয়ে চিৎকার করেন। এরপর এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে এসে নুশৈর কানের নিচে ও গলায় গোলাকার ক্ষতচিহ্ন দেখতে পান এবং পুলিশকে খবর দেন। পরে নিহতের বড় ভাই মংরে অং মারমা বাদী হয়ে রুমা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ হ্লাসিং মং মারমাকে আটক করে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইকবাল করিম জানান, নুশৈ মং মারমাকে দণ্ডিত হ্লাসিং মং মারমা নিজের তৈরি দেশি গাদা বন্দুক ও বারুদমিশ্রিত ধাতব বল গুলি হিসেবে ব্যবহার করে বাঁ কানের নিচে এবং গলায় তিন বার গুলি করে হত্যা করে। তদন্ত, সাক্ষী ও স্বীকারোক্তি অনুসারে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় হ্লাসিং মং মারমাকে মৃত্যুদণ্ড এবং এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।