শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ

যশোরের অভয়নগর উপজেলার একটি মাছের ঘের থেকে নাইমা (৭) নামে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার (৮ আগস্ট) রাতে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরিবারের দাবি, শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।

পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শিশু নাইমার সঙ্গে আমজাদ (৩৮) নামে এক প্রতিবেশীর সখ্যতা ছিল। সে আমজাদকে দোস্ত বলে ডাকতো। রবিবার বিকালে মেয়েটি তার মাকে জানায়, দোস্তকে একটা পেয়ারা দিতে যাচ্ছে। এরপর সে আর বাড়ি ফেরেনি।

পরিবারের সদস্যরা আমজাদের কাছে গেলে তিনি বিষয়টি জানেন না বলে জানান। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে রাতে মেয়েটির বড় চাচা রফিক একই এলাকার একটি পরিত্যক্ত মাছের ঘেরের পাড়ে কচুরিপানার মধ্যে তার মরদেহ দেখতে পান। এরপর মরদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ মরদেহ সোমবার সকালে যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

নাইমার বড় ভাই নাঈম হোসেন জানান, তার বোনকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ গুম করার চেষ্টা করা হয়েছে।

অভয়নগর থানার ওসি একেএম শামীম হাসান বলেন, ‘শিশুটির লাশ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় কিছু বিষয় নিয়ে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। দুপুর পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি। ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত চলছে। তা ছাড়া ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই ঘটনার বিস্তারিত জানা যাবে। আমরা মেয়েটির শরীরে আঘাতের কোনও চিহ্ন পাইনি।’ ঘটনা তদন্তে পুলিশের একাধিক টিম কাজ শুরু করেছে বলে তিনি জানান।

নিহত নাইমা অভয়নগর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মনিরুল ইসলামের মেয়ে। সে স্থানীয় একটি প্রাইমারি স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়তো।