বঙ্গোপসাগরে ইলিশ ডাকাতি, ১২ জলদস্যু গ্রেফতার

বঙ্গোপসাগরে ১৬টি জেলেনৌকায় ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ১২ জলদস্যুকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। শনিবার বিকালে র‌্যাব-৭-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমএ ইউসুফ বহদ্দারহাট চান্দগাঁও ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

এ সময় গ্রেফতার ব্যক্তিদের কাছ থেকে একটি বোট, তিন হাজারটি ইলিশ মাছ, মাছ ধরার বড় জাল, তিনটি ওয়ান শুটারগান, একটি চাইনিজ কুড়াল, ১৬টি দা ও ছুরি, একটি বাইনোকুলার, চারটি টর্চলাইট, দুটি চার্জলাইট, দুটি হ্যান্ডমাইক, ৭০টি মোবাইল ফোন, নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলো– আনোয়ার, লিয়াকত মাঝি, মনির, ইঞ্জিনচালক আবুল খায়ের, নবীর হোসেন, নেজামউদ্দিন, হুমায়ুন, সাহেদ, সাদ্দাম, আতিক, এমরান, মো. জহির ও আমানউল্লাহ।

গ্রেফতার ১২ জলদস্যুর‌্যাব-৭-এর অধিনায়ক বলেন, ‘সম্প্রতি আমরা খবর পেয়েছি, কিছু জলদস্যু গ্রুপ নতুন করে সংগঠিত হচ্ছে– এমন তথ্যের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযানে নামি। গত ২৭ আগস্ট বঙ্গোপসাগরে সাত-আটটি মাছ ধরার ট্রলারে ডাকাতি সংগঠিত হয়। এসব ট্রলার থেকে জলদস্যুরা জেলেদের জিম্মি করে মাছ-জাল নিয়ে যায়। তাদের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায় করে। এ ঘটনাটি জানার পর সদর দফতর থেকে বিশেষ নির্দেশনা আসে। তখন থেকে আমরা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছিলাম। দুদিন আগে খবর আসে একই জলদস্যু গ্রুপ ডাকাতি করার জন্য আবার বঙ্গোপসাগরে গেছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাবের তিনটি টিম জলদস্যু বাহিনীর পুরো গ্রুপটিকে ধরতে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে। একপর্যায়ে বঙ্গোপসাগরের গহিন সমুদ্রে যেতে হয়। স্পিডবোট নিয়ে ডাকাতদের ট্রলারকে আমরা ধাওয়া করি। শুক্রবার রাতে বাঁশখালীর বরগুনা এলাকায় মাছ ডাকাতি করে ট্রলারটি নোঙর করছিল। এমন সময় অভিযান চালিয়ে ১২ জন জলদস্যুকে আটক করা হয়।’

তিনি আরও জানান, গ্রেফতারকৃতরা জানায়, এ গ্রুপটির এটি ছিল দ্বিতীয় অভিযান। এর আগে ২৭ আগস্ট তারা প্রথম সাগরে ডাকাতি করেছিল। এ বাহিনীর প্রধান একজন মেম্বার। তার নাম আনসার মাঝি। সে নৌকা ভাড়া দিয়ে থাকে। তার ছেলে আনোয়ার অনগ্রাউন্ডে কাজ করে থাকে। আনোয়ার পরিকল্পনা করে সাদ্দাম নামে একজনের সহায়তায় অস্ত্র নিয়ে ডাকাতি কার্যক্রম জড়িয়ে পড়ে। তারা প্রথমে ছোট ছোট তিনটি নৌকায় ডাকাতি করে। এরপর তাদের একটি অভিজ্ঞতা হয়। তারা এর আগে ৯টি এবং বর্তমানে ৭টিসহ সর্বমোট ১৬টি বোট ডাকাতি করেছে বলে জানায়।

গ্রেফতার জলদস্যুদের জেলার পতেঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।