নারী উদ্যোক্তার খামারে বিষ প্রয়োগ, কোটি টাকার ক্ষতি

ময়মনসিংহে হ্যাপি কাউসার নামে এক নারী উদ্যোক্তার মৎস্য খামারের তিনটি পুকুরে বিষ প্রয়োগে দেড় লাখ মাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) ভোরে জেলার সদর উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের পাড়াইল মোড়ে হ্যাপি মৎস্য খামারে এ ঘটনা ঘটানো হয়।

এ ঘটনায় সদর উপজেলার সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা নাহিদা পারভিন, কোতয়ালি মডেল থানা-পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

বিষয়টি নিয়ে খামারি হ্যাপি কাউসার বলেন, ‘বিষ প্রয়োগে ৪০ হাজার পাঙাশ মাছ মরে ভেসে উঠেছে। প্রতিটা মাছ এক কেজির মতো ওজন ছিল। এ ছাড়া এক লাখের ওপরে দেশি মাছ মারা গেছে। আমার এক কোটি টাকার ওপরে ক্ষতি হয়ে গেলো। স্থানীয় মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে আমাদের পারিবারিক দ্বন্দ্ব রয়েছে। সে ছাড়া অন্য কারও সঙ্গে কোনও বিরোধ নেই। গত ১০ সেপ্টেম্বর সে পুকুর থেকে মাছ চুরি করলে থানায় অভিযোগ করা হয়। এ কারণে সে পুকুরে বিষ প্রয়োগ করতে পারে। জমি বিক্রি ও লোন তুলে তিনটি পুকুরে মাছ ছেড়েছিলাম। আমি নিঃস্ব হয়ে গেলাম। এই ক্ষতির বিচার চাই।’

মারা যাওয়া মাছহ্যাপি কাউসারের স্বামী আবুল হাসিম বলেন, ‘এক সময় মাহবুবুর রহমান ওই তিনটি পুকুরে মাছ চাষ করতো। সে মাছ চাষ ছেড়ে দেওয়ার পর আমরা পুকুরগুলো নিই। এই জিদ থেকে সে এবং তার লোকজন পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ মেরেছে। এ ঘটনার বিচার না হলে নারীরা মাছ চাষে উৎসাহ হারাবে।’

এসআই আনোয়ার বলেন, ‘পুকুরগুলোতে সাদা হয়ে মাছ মরে রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, বিষ প্রয়োগে সেগুলো মারা হয়েছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ময়মনসিংহ সদর উপজেলার সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা নাহিদা পারভিন বলেন, ‘তিনটি পুকুরেই মাছ মরে ভেসে উঠেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কোনও বিষক্রিয়ায় মাছগুলো মারা গেছে। তবে পরীক্ষা করা ছাড়া কারণ বলা যাবে না। বিষ প্রয়োগে মাছ মারা হলে সেগুলো না খাওয়াই ভালো।’