দুর্গাপূজা উপলক্ষে আগরতলায় গেলো ২৮০০ কেজি ইলিশ

শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের রুপালি ইলিশ রফতানি শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আগরতলায় গেছে দুই টন ৮শ’ কেজি ইলিশ। চলতি সপ্তাহেই আখাউড়া দিয়ে আরও একাধিক ইলিশের চালান আগরতলায় যাওয়ার কথা রয়েছে। আখাউড়া স্থলবন্দর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশের রফতানিকারকরা বলছেন, ত্রিপুরায় ইলিশের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ভারতে ইলিশ রফতানি চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু হলেও আগরতলায় ইলিশ যাচ্ছে অনেকটা শেষ সময়ে। তবে এর আগে ১২ সেপ্টেম্বর চাতলাপুর শুল্ক স্টেশন দিয়ে উত্তর ত্রিপুরায় ইলিশ রফতানি হয়েছে। একাধিক চালানে কৈলা শহরে গেছে প্রায় বারো হাজার কেজি ইলিশ।

বাংলাদেশের রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান ঢাকার যাত্রাবাড়ির ফিস বাজার পঞ্চাশ হাজার কেজি মাছ রফতানির অনুমতি পেয়েছে। আখাউড়া খলিফা এন্টারপ্রাইজের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধি শাহনেয়াজ মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগরতলায় ইলিশের চাহিদা রয়েছে। সেখানকার ব্যবসায়ীরা চাইলে আরও মাছ পাঠাতে পারবো।’

আগরতলার আমদানিকারক বিমল রায় পিন্টু সাংবাদিকদের জানান, প্রতি কেজি ইলিশ মাছ দশ ডলারে কেনা হয়েছে। এই মুহূর্তে বাজারমূল্য বেশি হলেও কম লাভেই ত্রিপুরার মানুষকে ইলিশের স্বাদ দিতে চাইছে তার প্রতিষ্ঠান।

জানা গেছে, এবার ভারতে যাচ্ছে দুই হাজার নয়শ’ পঞ্চাশ টন রুপালি ইলিশ। এর বেশির ভাগই পশ্চিমবঙ্গের বাজারে যাবে। তবে আগরতলার বাজারে অনেকটা দেরিতে হলেও শুরু হয়েছে ইলিশ যাওয়া।

আখাউড়া স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা মিজানুর রহমান চৌধুরী জানান, ত্রিশ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইলিশ রফতানির সুযোগ রয়েছে। এই সময়ের মধ্যেই ব্যবসায়ীরা নিয়ম মেনে ভারতে ইলিশ রফতানি করতে পারবেন।

মঙ্গলবার মোট ১১২টি বাক্সে করে মাছগুলো ত্রিপুরায় পাঠানো হয়। প্রতি কেজি ইলিশ মাছের রফতানি মূল্য ১০ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশের মুদ্রায় প্রায় ১০০০ টাকা।