মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুরে বুধবার বিকালে বিএনপি ও পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত যুবদল কর্মী শাওনের (২৫) মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছেছে। শুক্রবার রাত ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে একটি লাশবাহী ফ্রিজারে করে ঢাকা থেকে তার মরদেহ সদর উপজেলার মিরকাদিম পৌরসভার মুরমা মহল্লায় পৌঁছে।
দুপুর থেকেই মরদেহ আসার খবরে শাওনের বাড়িতে আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুরা জড়ো হতে থাকেন। রাতে মরদেহ পৌঁছানোর পর শাওনের মা, বাবা, স্ত্রী, দাদী, ভাই ও স্বজনদের কান্নায় এক হৃদয়বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। মরদেহ একনজর দেখার জন্য স্বজনরা লাশবাহী গাড়িতে আছড়ে পড়েন।
শাওনের মা লিপি আক্তার বলেন, ‘আমার বড় ছেলে শাওনকে ওরা গুলি করে মেরে ফেললো। আমি ওদের বিচার চাই। দুপুরে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে সে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরত আসেনি।’
শাওনের দাদা রহিম ভূঁইয়া বলেন, ‘আমার নাতির হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচার চাই।’
এদিকে, নিহত শাওনের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারকে সান্ত্বনা দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে শাওনের আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না। সব হত্যাকাণ্ডের বিচার করা হবে।’ তিনি বিএনপির পক্ষ থেকে শাওনের পরিবারের দায়িত্ব নেওয়া হবে বলে জানান।
উল্লেখ্য, মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুর পুরনো ফেরিঘাট এলাকায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনায় যুবদল কর্মী শাওন (২৫) বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মিরকাদিম পৌরসভার মুরমা এলাকার সোয়াব আলীর পুত্র। পেশায় ইজিবাইক চালক শাওনের আট মাসের একটি সন্তান রয়েছে বলে জানা গেছে।