‘খুলনার গৃহবধূ রহিমা বেগম কেন, কী কারণে নিখোঁজ ছিলেন তা আমরা জানতে পারিনি। কারণ, পুলিশ হেফাজতে আসার পরই তিনি নির্বাক রয়েছেন। তবে, বাড়ির লোকজনের কাছ থেকে জানা গেছে, রহিমা খুলনা থেকে চট্টগ্রামে যান। পরে সেখান থেকে মুকসুদপুরে যান। সেখান থেকে ফরিদপুরের বোয়ালিয়ায় কুদ্দুস বিশ্বাসের বাড়িতে আসেন।’ রহিমাকে উদ্ধারের পর খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) উপ-কমিশনার (উত্তর) মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন শনিবার দিনগত রাতে দৌলতপুর থানায় বসে এসব কথা বলছিলেন।
উদ্ধার প্রসঙ্গে কেএমপির উপ-কমিশনার বলেন, ‘রাতে রহিমা কিছু খেতে চাননি। তিনি এখন ইশারায় বোঝানোর চেষ্টা করছেন। কোনও কথা বলছেন না। পুলিশ যখন বোয়ালিয়ায় কুদ্দুসের বাড়িতে পৌঁছে তখন রহিমা সেখানে কুদ্দুসের স্ত্রী ও ভাইয়ের বউয়ের সঙ্গে গল্প, হাসি-আড্ডায় ছিলেন। পুলিশ দেখার পরই তিনি নির্বাক হয়ে যান। এ সময় কুদ্দুস বাড়িতে ছিলেন না। তাই কুদ্দুসের স্ত্রী ও ছেলে এবং ভাইয়ের বউকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রহিমা তাদের এখানে আসার কারণ কী বলেছে তা জানার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তারা তেমন কিছুই জানতে পারেনি। তারা রহিমার কাছে এসব জানার চেয়ে সাবেক বাড়িওয়ালাকে সেবাযত্ন করতে তৎপর ছিলেন। ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ১১টা পর্যন্ত সাত দিন রহিমা এই বাড়িতে ছিলেন। রহিমা তাদের জানান, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর ও চট্টগ্রাম ঘুরে তিনি ফরিদপুরে এসেছেন। রহিমার সঙ্গে প্রয়োজনীয় কাপড়-চোপড় থাকায় তারা তেমন কোনও সন্দেহ করেনি। আর রহিমার ছেলেমেয়েদের সঙ্গেও কথা বলেননি। কারণ, তাদের কাছে মনে হয়েছিল রহিমা বেড়াতে এসেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কাজ ছিল রহিমাকে উদ্ধার করা। আমরা সেটা সফলভাবে সম্পন্ন করেছি। রহিমা তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি চালু করেননি। এ কারণে আমরা গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করি। তাতে অনেকটা বেগ পেতে হয়েছে। তারপরও আমরা সফল হয়েছি। মামলাটি পিবিআই তদন্ত করছে। আশা করছি তারা এ ঘটনার প্রকৃত রহস্য উন্মোচন করতে সক্ষম হবে। আমরা আপাতত ভিকটিম রহিমাকে কেএমপির ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারেই রাখবো। তাকে সেবা ও কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে সুস্থ করে তুলবো আগে। এরপর পিবিআই যখনই চাইবে তখনই তাকে আমরা তাদের কাছে হস্তান্তর করবো।’