আলমডাঙ্গায় স্বামী-স্ত্রীকে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ৪

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার আলোচিত দম্পতি হত্যার ঘটনায় চার জনকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের পাঁচ দিন পর তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে নগদ টাকা, ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও ব্যাগসহ বিভিন্ন জিনিস। বৃহস্পতিবার সকালে প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন।

গ্রেফতার চার জন হলো– আলমডাঙ্গার কালিদাসপুর ইউনিয়নের আসাননগর গ্রামের বজলু রহমানের ছেলে সাহাবুল (২৪), একই গ্রামের মাসুদ আলীর ছেলে বিদ্যুৎ (২৩), পিন্টু রহমানের ছেলে রাজিব (২৫) এবং তাজ উদ্দিনের ছেলে শাকিল (২১)।

গ্রেফতার রাজীবের কাছ থেকে ৩৫ হাজার টাকা, বিদ্যুতের কাছ থেকে ৮ হাজার টাকা, মোবাইল ফোন, নিহতদের ব্যাগ এবং আসামিদের রক্তমাখা কাপড় উদ্ধার করা হয়।

আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার বলেন, ‘নিহত নজির উদ্দিন ধান-চালের পাশাপাশি বালুর ব্যবসা শুরু করেন। এজন্য তিনি একটি ট্রলি কেনেন। হত্যার মাস্টারমাইন্ড সাহাবুল নজিরের সেই ট্রলিতে বালি আনা-নেওয়া করতো। ঘটনার দিন সাহাবুল তার সহযোগী বিদ্যুৎ ও রাজিবকে নিয়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে নজিরের বাড়ির সামনে হাজির হয়। বালু কেনার কথা শুনে এবং সাহাবুলকে চিনতে পেরে নজির বাড়ির দরজা খুলে দেন। তারা বাড়িতে ঢুকে নজির তার স্ত্রীকে হত্যা করে টাকা ও দুটি মোবাইল ফোন নিয়ে বেরিয়ে যায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনার দিন অন্যান্য জিনিসের সঙ্গে দুটি মোবাইল ফোন নিয়ে যায় খুনিরা। পাঁচ দিন ধরে ফোন দুটি বন্ধ পাওয়া যায়। মঙ্গলবার রাত থেকে দুটি ফোনের একটি খোলা পায় পুলিশ। এরপর একে একে আটক করা হয় সাহাবুল ও রাজিবকে।’

উল্লেখ্য, শুক্রবার রাতে আলমডাঙ্গার পুরাতন বাজারের অর্পিত সম্পত্তির বাড়িতে ব্যবসায়ী নজির উদ্দিন ও তার স্ত্রী ফরিদা বেগমকে নির্মমভাবে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরদিন সকালে বাড়ির তালা ভেঙে ঘর থেকে ফরিদা খাতুন এবং বাথরুম থেকে নজির উদ্দিনের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পরদিন নিহতের একমাত্র মেয়ে ডালিয়ারা পরভীন শিলা বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।