সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী দলের সদস্য বৃহত্তর চট্টগ্রামের পাঁচ ফুটবলারকে রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ঘাগড়া বাজারে তাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন স্কুলের শিক্ষার্থীরা। পরে শোভাযাত্রা করে বিদ্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গণে শিক্ষকরা তাদের বরণ করে নেন।
কৃতী এই পাঁচ ফুটবলারই ঘাগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। এ সময় ফুটবলাররা আজকের সাফল্যের পেছনে এই বিদ্যালয়ের কথা স্মরণ করে এটিকে সরকারি করার দাবি করেন। রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার পাহাড়ি এক গ্রামে অবস্থিত ঘাগড়া উচ্চ বিদ্যালয়। যাকে বলা হয় নারী ফুটবলার তৈরির সূতিকাগার। সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ দলের পাঁচ খেলোয়াড় উঠে এসেছেন ঘাগড়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে। এখানে প্রতিষ্ঠানিক পর্যায়ে ফুটবল খেলার হাতেখড়ি সাফজয়ী দলের বৃহত্তর চট্টগ্রামের পাঁচ ফুটবলারের। তারা হলেন– রাঙামাটির রুপনা চাকমা ও ঋতুপর্ণা চাকমা এবং খাগড়াছড়ি জেলার মনিকা চাকমা, যমজ দুই বোন আনাই মগিনী ও আনুচিং মগিনী।
ফুটবলাররা বিদ্যালয়ে পৌঁছলে প্রথমে প্রধান শিক্ষক কেক ও মিষ্টি খাওয়ান। পরে তারা স্কুল প্রাঙ্গণে ঘুরে বেড়ান এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছবি তুলে সময় কাটান।
ঋতুপর্ণা চাকমা বলেন, ‘এই স্কুলের শিক্ষকরা অনেক কষ্ট করে আমাদের লেখাপড়া ও খেলাধুলা শিখিয়েছেন। আমরা তাদের কাছে ঋণী। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি করছি, এই স্কুলটা যেন সরকারি করে দেওয়া হয়।’
ফুটবলার মনিকা চাকমা বলেন, ‘আমাদের এভাবে সড়কে দাঁড়িয়ে অভ্যর্থনা দেওয়া হবে সেটা চিন্তা করতে পারিনি। এই স্কুলে কয়েক বছর আগে পড়ালেখা শেষ করেছি। তখন শিক্ষকরা কত শাসন করেছিলেন আর আজ তারাই বরণ করছেন, বিষয়টি চিন্তা করতেই অন্যরকম লাগছে।’