জাপা নেতাকে কুপিয়ে পা বিচ্ছিন্নের ঘটনায় চেয়ারম্যানের ভাই আটক

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার তুষখালী ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির (জাপা) সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলামকে (৪০) কুপিয়ে বাঁ পা বিচ্ছিন্নের ঘটনায় ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের ছোট ভাই নাসির হাওলাদারকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে মঠবাড়িয়া থানার ওসি নূরুল ইসলাম বাদল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জাপা নেতাকে কুপিয়ে পা বিচ্ছিন্ন

শফিকুল তুষখালী ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক। তিনি তুষখালী গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তুষখালীর মুসা শরীফের সঙ্গে শফিকুলের একটি মামলা রয়েছে। ওই মামলায় হাজিরা দিতে শফিকুল বৃহস্পতিবার সকালে মোটরসাইকেলে তুষখালী থেকে মঠবাড়িয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পিরোজপুর-মঠবাড়িয়া সড়কের মাঝেরপুলের কাছে ফরাজি বাড়ির সামনে কালভার্টের ওপরে আসামাত্রই একটি মাহেন্দ্র গাড়ি শফিকুলের গতিরোধ করে। সে সময় শফিকুল মোটরসাইকেল থেকে নেমে পেছনের দিকে দৌড় দিলে হামলাকারীরা মাহেন্দ্র থেকে নেমে তাকে ধাওয়া করে কুপিয়ে বাঁ পা বিচ্ছিন্ন করে। এলোপাতাড়ি কোপানোর কারণে শফিকুলের ভুড়ি বেরিয়ে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক জখম হয়। খবর পেয়ে  মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশ এ ঘটনায় জড়িতদের আটকের জন্য অভিযান শুরু করেছে।

স্থানীয়রা আহত শফিকুলকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখান থেকে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

মঠবাড়িয়া থানার ওসি বলেন, ‘এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নাসির হাওলাদারকে আটক করেছে পুলিশ।’

এদিকে, এ হামলার ঘটনায় স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ডা. মো. রুস্তুম আলী ফরাজী তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি হামলায় জড়িতদের আটক করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।