চাল রাখার ড্রামে শিশুর লাশ, প্রতিবেশী গ্রেফতার

যশোর সদর উপজেলার পতেঙ্গালি এলাকায় নিখোঁজের ১২ ঘণ্টা পর প্রতিবেশীর চালের ড্রাম থেকে সানজিদা (৪) নামে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। 

শনিবার (১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টায় লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত প্রতিবেশী আঞ্জুয়ারা বেগমকে আটক করেছে পুলিশ। সানজিদা পতেঙ্গালী গ্রামের সোহেল হোসেনের মেয়ে।

জানা গেছে, আঞ্জুয়ারা তিন বছর আগে সানজিদাদের বাড়ির পাশে জমি কিনে বসবাস শুরু করেন। তার স্বামী রেজাউল ইসলাম মাঝে মাঝে ওই বাড়িতে আসেন। রেজাউল বেনাপোলের পুটখালী গ্রামের বাসিন্দা।

পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা জানান, শনিবার দুপুর ১২টার দিকে সানজিদাকে বাড়ির পাশের দোকানে নিয়ে খাবার কিনে দেন সোহেল। এরপর তাকে বাড়িতে রেখে যান। তারপর থেকেই সানজিদাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল। স্বজন ও প্রতিবেশীরা সারাদিন তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেন। তার সন্ধানে পুকুরে জালও ফেলা হয়। মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে যশোর কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন সোহেল। ওই জিডির কপি নিয়ে মেয়েকে উদ্ধারের আশায় স্ত্রীকে নিয়ে ডিবি অফিসে যান।

ডিবি পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম জানান, তদন্তের এক পর্যায়ে আঞ্জুয়ারা বেগমের কথাবার্তায় সন্দেহ হয়। পরে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যা করে নিজ ঘরের চালের ড্রামে লুকিয়ে রাখার কথা স্বীকার করেন তিনি। এরপর রাত সাড়ে ১১টায় আঞ্জুয়ারার বাড়িতে গিয়ে চালের ড্রাম থেকে সানজিদার লাশ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এসআই আরও জানান, আঞ্জুয়ারা হত্যার বিষয়ে একেক সময় একেক রকম কথা বলছেন। এ কারণে হত্যার মূল কারণ এখনও উদঘাটন সম্ভব হয়নি। তবে, আঞ্জুয়ারা জানিয়েছেন, তার ড্রামে চাল ছিল না। লাশ গোপন করতে প্রতিবেশীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাল সংগ্রহ করে আনেন। এরপর তা লাশের ওপরে ছিটিয়ে দেন।